নোংরা প্রচারণার মধ্যবর্তী নির্বাচন নির্ধারণ করবে ট্রাম্পের যোগ্যতা
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন আজ। মেয়াদ পূর্ণ করে সরকারের বাকি দুই বছর আমেরিকা শাসনের যোগ্যতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের আছে কিনা, তা নিশ্চিত হবে কংগ্রেসের সবগুলো আসনে ভোটের ফল প্রকাশের পর।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
এই নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক বর্ণবাদী হয়রানির অভিযোগ উঠছে। চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। ফলে এটি রূপ নিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে নোংরা নির্বাচনী প্রচারণায়।
নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পুলিশ হত্যাকারী অবৈধ অভিবাসী নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সম্প্রচার মাধ্যমগুলো।
অন্যদিকে ফ্লোরিডা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে উল্লেখযোগ্য আফ্রিকান-আমেরিকান প্রার্থীদের টার্গেট করে চলছে বর্ণবাদী আক্রমণাত্মক বক্তব্যযুক্ত স্বয়ংক্রিয় ফোনকলের বন্যা।
মঙ্গলবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পাওয়াটা প্রতিদ্বন্দ্বী সব দলের জন্যই খুবই জরুরি। একে দেখা হচ্ছে ট্রাম্পের সরকারের প্রতি আস্থা যাচাইকারী গণভোট হিসেবে।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) ৪৩৫ আসনের সবক’টি এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের ৩৫ আসনে নির্বাচন হবে। এছাড়াও ৩৯টি রাজ্যের গভর্নর নির্বাচনও হবে আজ। প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে আরও ২৪টি আসনে জিততে হবে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের। পাশাপাশি সিনেটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেও ডেমোক্র্যাটদের বাড়তি দু’টি আসন প্রয়োজন।
উভয়কক্ষে ডেমোক্র্যাটরা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলে ব্যাপক তদন্তের মুখে পড়তে পারেন বর্তমান রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হলে মার্কিনীদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে বলে ট্রাম্প অবশ্য হুঁশিয়ার করেছেন। আবার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জনসভায়, অভিবাসীদের পৃথিবীর সবচেয়ে ‘জঘন্য’ মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে অগ্রীম ভোটেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে এবারের অগ্রীম ভোট ২০১৪ সালের অগ্রীম ভোটের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।