রিও ডি জেনিরোর গ্রাঞ্জা কোমারির ট্রেনিং সেন্টার তারকা-আলোয় জ্বলজ্বল করছে। কারণ এখানেই হচ্ছে ব্রাজিল বিশ্বকাপ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প। ক্যাম্পে একে একে যোগ দিচ্ছেন নেইমার, ফিলিপে কৌতিনহো, ডগলাস কস্তাদের মত ইউরোপ মাতানো তারকারা।
গ্রাঞ্জা কোমারি ট্রেনিং সেন্টারের অবস্থান রিও শহর থেকে ৮০০ মিটার উঁচুতে। সরু রাস্তার কারণে সেখানে যানবাহন যেতে পারে না। খেলোয়াড়দের ট্রেনিং সেন্টারে যেতে হয় বিশেষ ব্যবস্থায়।
অবশ্য নেইমার, কৌতিনহোরা সেই বিশেষ ব্যবস্থার ধার ধারেননি। হেলিকপ্টারে করে সোজা নেমেছেন ট্রেনিং সেন্টারের গ্রাউন্ডে। স্কোয়াডের বাকি খেলোয়াড়দেরও দ্রুত ক্যাম্পে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন ক্যাম্প কো-অর্ডিনেটর ও আর্সেনালের সাবেক খেলোয়াড় এডু।
পুরো দল একত্র হতে সময় লাগবে। রিয়ালে থাকা মার্সেলোরা ২৬মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগে আসতে পারছেন না। তবে চোট-পুনর্বাসনে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে কাটিয়ে ফেরা নেইমার নিজেকে ঝালিয়ে নিতে শুরু করেছেন। নেইমার-কৌতিনহোদের বলের কারিকুরিতে তাই মুখর হয়ে উঠেছে রিওর গ্রাঞ্জা কোমারি ট্রেনিং সেন্টার।
‘খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে আসাটা খুব ভালো লেগেছে। আশা করি বাকি খেলোয়াড়রাও দ্রুত চলে আসবে।’
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আগামী ৩ জুন, আর ১০ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ‘ই’ গ্রুপে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বকাপ প্রতিপক্ষ কোস্টারিকা, সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ড।
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দল
গোলরক্ষক: অ্যালিসন, ক্যাসিও, এডারসন।
ডিফেন্ডার: দানিলো, ফিলিপে লুইস, মার্সেলো, মার্কুইনহোস, মিরান্দা, থিয়াগো সিলভা, গেরোমেল, ফ্যাগনার।
মিডফিল্ডার: রেনাতো অগাস্তো, কাসেমিরো, ফিলিপে কৌতিনহো, ফের্নানদিনহো, পাউলিনহো, উইলিয়ান, ফ্রেড।
ফরোয়ার্ড: ডগলাস কস্তা, রবের্তো ফিরমিনো, গ্যাব্রিয়েল জেসাস, নেইমার, টাইসন।