নারায়ণগঞ্জ সাত খুন মামলার অন্যতম প্রধান আসামী নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে পশ্চিমবঙ্গ আদালতের নির্দেশনার পর খুব দ্রুত তাকে ফেরত পাওয়ার আশা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তাকে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অতি দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সন্দ্বীপ চক্রবর্তী। নূর হোসেনকে ফেরত পাঠিয়ে দুমাসের মধ্যে সরকার পক্ষকে অবহিত করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৩ সালের বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের আদালত নূর হোসেনকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াটি বেশ লম্বা। দুই দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েক স্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নূর হোসেনকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সূত্রটি জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশের কপি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরের কাছ থেকে আদেশের কপি যাবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হবে।
আদালতের নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে থাকা বিদেশী বিভাগ প্রত্যার্পনের দিকে। একই সঙ্গে আদালতের আদেশ যাবে স্থানীয় কারাগারে। সেই নির্দেশনাটি পুলিশ বিভাগের অধীনে থাকা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছেও যাবে।
সব প্রক্রিয়ার শেষ হওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে সীমান্ত থেকে নূর হোসেনকে গ্রহণ করতে যাবেন সাত খুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দুই দেশের পুলিশ দাপ্তরিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিএসএফ ও বিজিবি’র মধ্যে সমন্বয় করে নূর হোসেনকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দীন জানিয়েছেন, নূর হোসেনকে ফেরত আনার জন্য আবেদনের সার্বিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা আছে। তাই অভিযুক্তকে হস্তান্তর করার জন্য নতুন করে আর আবেদন করতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গ আদালতের নির্দেশনাই যথেষ্ট।
নিয়ম অনুযায়ী বি এস এফ নূর হোসেনকে নিয়ে সীমান্তের জিরো লাইনে বিজিবি’র হাতে তুলে দিবে।