চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিয়তি গড়ে দেন ফখর ও আমির

লন্ডন, ওভাল থেকে: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১৮০ রানে বিধ্বস্ত করে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতল পাকিস্তান। ওভালে একপেশে ফাইনালে ফখর জামানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আর পেসার মোহাম্মদ আমিরের দুরন্ত বোলিংয়ে অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের অষ্টম দল হিসাবে টুর্নামেন্ট শুরু করা পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের জবাবে তারকাখচিত ভারতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৫৮ রানে। এই পথে নিয়তি গড়ে দেন ফখর ও আমির। প্রথম জনের সেঞ্চুরি, পরের জনের দুর্দান্ত ওপেনিং স্পেলেই সব শেষ।

ভারতীয় ইনিংসের প্রথম পাঁচ ওভারেই ম্যাচের নিয়তি গড়ে দেন পাকিস্তানি পেসার আমির। তৃতীয় বলে সেমির সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মাকে লেগবিফোর। তৃতীয় ওভারে ভারত অধিনায়ক কোহলিকে সাজঘরের পথ দেখানো।

ব্যাটে আধিপত্যের পর আমিরীয় আগ্রাসনে ম্যাচের লাগাম তখন পাকিস্তানিদের হাতে। টুর্নামেন্টের হাইয়েস্ট স্কোরার শেখর ধাওয়ানকেও ফিরিয়েছেন তিনি। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত কোণঠাসা, প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের স্বপ্ন পাকিস্তানি শিবিরে।

ভারতের আশা মিলিয়ে যায় ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওভারে। ২১ রান করা যুবরাজ সিং’কে এলবির ফাঁদে ফেলেন লেগস্পিনার শাদাব খান। পরের ওভারে ধোনি বিদায় হন পেসার হাসান আলির বলে।

তারপরও ম্যাচের আকর্ষণ হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট। মাঠে ভারত নামেও যে একটা দল আছে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল ৪৩ বলে ছয় ছক্কায় পান্ডিয়ার ৭৬ রানের টর্নেডো ইনিংসটি। রান আউটে তার সমাপ্তিতে পাকিস্তানের সমর্থকদের টেনশনমুক্তি।

এর আগে ওভালের ব্যাটিং উইকেটে টস হেরেও প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ ষোলোআনা কাজে লাগিয়েছেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার আজহার আলি ও ফখর জামান। ১২৮ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপে আজহার আলির ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি, ৭১ বলে ৫৯।

তবে ওভালের দর্শকদের মন কেড়েছেন নবাগত ফখর জামান। অ্যাবোটাবাদের এই তরুণ ব্যক্তিগত তিন রানে আউট হয়েও জাসপ্রিত বুমরাহর নো-বলের কল্যাণে বেঁচে যান। সুযোগ চমৎকারভাবে কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারের ৪ নম্বর ওডিআইতে পেয়ে যান প্রথম সেঞ্চুরি, ৯২ বলে।

১১৪ করে ফখরের আউটের পর পাকিস্তানের স্কোর তিনশো পার করান মোহাম্মদ হাফিজ ও ইমাদ ওয়াসিম। অপরাজিত ৭১ রানের ভাগিদারী। ইমাদের ২৫ বলে ২১’র চেয়ে অভিজ্ঞ হাফিজের ব্যাটিং আরো আগ্রাসী, ৩৭ বলে তিন ছক্কায় ৫৭ রান। তাতেই ইনিংসের শেষ দশ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা ৯৩ রান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের ইতিহাসে সেরা সংগ্রহ পাকিস্তানের, ৪ উইকেটে ৩৩৮।

এই রান-উৎসব আর আমিরের নেতৃত্বে দুর্দান্ত বোলিংয়ের জোরেই পাকিস্তান প্রথমবারের মতো জিতে নেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০০৯’র পর আইসিসির আয়োজনে মেগা টুর্নামেন্টের শিরোপা।