স্বাধীনতার অনেক পরে হলেও শুরু হয়েছে স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন। সাম্রাজ্যবাদী এবং পাকিস্তানি আদর্শের অনুসারীরা এখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা আর অনাচারের যে সংস্কৃতি চালু করেছে তা হটিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন সুচকগুলোর মাপকাঠিতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে স্বাধীনতা বিরোধীদের সৃষ্ট চরম নৈরাজ্য, হত্যা, ধ্বংস, বিদেশি চাপ সব সামলে নিয়ে মাত্র আট বছরের মধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উঠে এসেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের জন্য মনোনীত হয়েছে।
এ পর্যায়ে উঠে আসার জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি মানদণ্ডের তিনটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। মানদণ্ড গুলো হচ্ছে: মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানব সম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। বাংলাদেশে শুধু মাথাপিছু আয়ই বাড়েনি। উন্নয়ন হয়েছে মানব সম্পদের। অর্থনীতির বুনিয়াদ হয়েছে মজবুত।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করায় সব থেকে বড় পাওয়া হলো –
আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি। ভিক্ষের ঝুলি হাতে প্যারিস কনসরটিয়াম বৈঠকে যোগ দেওয়া বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই উত্তরণে প্রতিটি মানুষের মানসিক শক্তি বেড়ে গেছে বহুগুণ। সরকারের সমর্থক কী বিরোধী – প্রতিটি মানুষ এখন অনুভব করছে, আমরা আর অন্যের মুখাপেক্ষী নই। এখন আমরা নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াবার শক্তি অর্জন করেছি।
বাঙালির এই আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অনেক দূর। এ অর্জন দূর করবে আমাদের মানসিক দৈন্য; এনে দেবে উন্নত সংস্কৃতি। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতিই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। বাংলাদেশ এখন আত্মমর্যাদার সঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে। এসময়ে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারি কাজের নিরবিচ্ছিনতা।
বাংলাদেশের এই এগিয়ে চলা সহজসাধ্য হচ্ছে না। কতগুলো অর্থনৈতিক বিষয় এখনো সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: ঋণ দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার এবং দিন দিন অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি। অর্থমন্ত্রী কয়েক দিন আগে বলেছেন যে তিনি যখন মন্ত্রী হন তখন খেলাপি ঋণ ছিল মোট ঋণের ৪০%, এখন তা কমে হয়েছে ১০% এর মত।
এ তথ্য গত নয় বছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ সংস্কৃতির উন্নতি নির্দেশ করে। কিন্তু সাধারণের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিরোধীদের প্রচারণার তোরে সাধারণ মানুষ সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সাফল্যকে দেখতে পাচ্ছে না।
বড় বড় কয়েকটি ঋণ দুর্নীতির কারণে সরকারের এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই যৌথ সাফল্য গণমানসে স্থান করে নিতে পারছে না। এর প্রধান কারণ ঋণ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা দৃশ্যমান না হওয়া। হলমার্ক মালিক এবং তার স্ত্রী জেলে আছে কিন্তু টাকা আদায়ের কিছুই হয়নি।
অন্যান্য দুর্নীতিবাজদের জেলে নেওয়া যায়নি। বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করা নিয়ে দুদক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যংকিং খাত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে ব্যাংকের টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তা এবং ঋণ গ্রহীতাকে শাস্তি দেয়া গেলে ঋণ কেলেঙ্কারি এই পর্যায়ে আসত না। দুর্নীতিবাজদের অতিদ্রুত আইনের আশ্রয় নিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ ফিরিয়ে আনা না হলে বর্তমান সরকারের বড় বড় অর্জনগুলো সাধারণ মানুষ বিবেচনায় আনবে না।
গত কয়েক বছরে যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর ফলে দারিদ্রের হার নেমে এসেছে অনেকখানী। পাঁচ কোটি মানুষ দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়ে মধ্যবিত্ত পর্যায়ে উঠে এসেছে। অতি দারিদ্র কমে ১২.৯% এ নেমেছে।
এভাবে চলতে থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে আর অতি দরিদ্র মানুষ থাকবে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা যতটা না সাধারণ মানুষ পেয়েছে তার চেয়ে বেশি পেয়েছে বিত্তশালীরা। গত নয় বছরে অর্থনৈতিক বৈষম্যের সূচক বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। ২০০৫ সালে সূচকটা নির্দেশ করছিল ছিল ০.৪৬৭।
২০১০ সালে তা কমে হয়েছিল ০.৪৫৮। ২০১৬ সালে আবার তা বেড়ে হয়েছে ০.৪৮৩। শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয় তার সুষম বণ্টনও দরকার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য যেমন সরকার কাজ করছে তেমনি অর্জিত সম্পদ যাতে সকল স্তরের মানুষের মধ্যে সুষম বণ্টন করা যায় – সে চেষ্টাও করতে হয় সরকারকে। গত কয়েক বছরে সে চেষ্টায় ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
নির্বাচনের বছরে দুটি জিনিস বেশ দেখা যায়। এর একটি হচ্ছে কালোটাকার ছড়াছড়ি আরেকটি হচ্ছে সরকার সমর্থক বড় বড় দুর্নীতিবাজেরা এসময়ে বিদেশে অর্থ পাচার করে দেয়। দুর্নীতি এবং অবৈধ উপায়ে অর্জিত কালোটাকা দেদারসে খরচ হয় নির্বাচনী প্রচারণায়।
এতে একদিকে খারাপ লোকদের নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, অন্যদিকে দেশে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা এ বছরে সরকারের আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন দ্রব্যের সাপ্লাই চেইনের উপর কড়া নজর রাখলে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকবে। নজরদারীতে ঘাটতি হলে বেড়ে যাবে মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি হলে গরীব এবং নির্দিষ্ট আয়ের লোকেরা আর্থিক কষ্ট পায়। ফলে সরকারের অর্জনগুলো সাধারণ ভোটারেরা বিবেচনায় নিতে পারে না।
কালোটাকা পাচার হয়ে গেলে অর্থনীতির শক্তি কমে যায়। কালোটাকা পাচারের পথগুলো বন্ধ করা সহজ নয়। এ কাজ সময় সাপেক্ষও বটে। গত ৪/৫ বছর ধরে এ নিয়ে অনেক সামাজিক আলোচনা হলেও এর সমাধানে সরকারকে সচেষ্ট হতে দেখা যায়নি। তবে নির্বাচনের বছরে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক দৃষ্টি রাখলে পাচার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। আগামী নির্বাচনে বর্তমান দল সরকারে থাকবে – এমন ধারণা করছেন অনেকেই। এই ধারণা বজায় থাকলে অর্থ পাচারের পরিমাণ কম হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকার যতটা দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে টাকা পাচারের প্রবণতা ততটাই কমে যাবে। এখনই কালোটাকার উৎস অনুসন্ধান করে তার অধিকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করা গেলে দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ব কমবে, যথার্থ রাজনীতিবিদেরা নির্বাচিত হবার সুযোগ পাবে। খারাপ লোকেরা কালোটাকা ব্যবহার করে নির্বাচিত হলে, ক্ষমতার ভাগ পেলে দেশের অগ্রগতি ব্যহত হবে।
ডলারের দাম গত বছরের তুলনায় বেশ বেড়েছে। অবকাঠামো নির্মাণে প্রচুর কাজ হচ্ছে এবং কাঁচামাল ও মুলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে। রফতানি আয় অনেকখানি বাড়লেও আমদানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা পেরে উঠছে না। ফলে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। গত কয়েক মাসে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের মত।
এতে উপকৃত হচ্ছে প্রবাসীদের পরিবার এবং রপ্তানিকারকদের। বেড়েছে প্রবাসীদের পাঠানো টাকার পরিমাণ। অন্যদিকে বেড়ে গেছে আমদানি করা দ্রব্যের মূল্য। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে সামগ্রিক ভাবে মূল্য স্তর বেড়ে যায়। এতে বিদেশিদের কাছে দেশের পণ্যের চাহিদা কমে। আমদানি করা দ্রব্য যেহেতু সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে না তাই ডালারের দাম বৃদ্ধি ভোটের রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলার সুযোগ পাবে না। তবে আমদানি নির্ভর ব্যবসায়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গাঁটের পয়সায় এতে টান পড়বে। রপ্তানিকারকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভের অঙ্ক ছোট হয়ে যেতে পারে যদি উৎপাদন খরচ ৬% এর (ডলার মূল্য বৃদ্ধির) চেয়ে বেশি হয়। ডলারের দাম বাড়ার পরেও যেহেতু রপ্তানিকারদের আওয়াজ দিচ্ছে না তাতে ধরে নেয়া যায় যে ডলারের দাম বাড়ার পরেও তাদের উৎপাদন খরচ ততটা বাড়েনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমদানিকারকদের তুলনায় প্রভাব বেশি রপ্তানি নির্ভর ব্যবসায়ীদের। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দাম বৃদ্ধি নির্বাচনে তেমন কোন প্রভাব বিস্তার করবে না।
বেশকিছু বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণাধীন। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পদ্মা সেতু এবং ঢাকার মেট্রোরেল। এর কোনটাই নির্বাচনের আগে সম্পন্ন হবে না। পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৯ সালে এবং মেট্রোরেলের কাজ ২০২০ সালে শেষ হবে। এই দুই প্রকল্প শেষ না হলেও সরকার চাইবে এদেরকে যত বেশি সম্ভব দৃশ্যমান করা।
দুই প্রকল্পেই কাজ চলছে পুরোদমে। নির্বাচনের আগে এদের অনেকখানি দেখা যাবে। তবে দেশজুড়ে যেসব রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে তার বেশির ভাগ শেষ করার চেষ্টা থাকবে সরকারের। এতে বাজারে নগদ প্রবাহ চলমান থাকবে; সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে; মুদ্রাস্ফীতির উপর চাপও বাড়বে। দব্য সমূহের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রেখে অতি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো নির্বাচনের আগে শেষ করতে পারলে রাজনৈতিক সুবিধা পাবে বর্তমান সরকার।
চলতি অর্থ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭.৬৫ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।আগামী বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার উপর নির্বাচনের বছরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে, নিয়ন্ত্রণে থাকবে প্রশাসন। প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে থাকলে যথাসময়ে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হবে এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। বর্তমান সরকারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানের মত রাখতে পারলে নতুন নতুন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হতে থাকবে।
এ ক্ষেত্রে বড় বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে ঋণের উপর সুদের উচ্চ হার। বর্তমানে ঋণের সুদ ১২- ১৩ শতাংশ পর্যন্ত উঠে আছে। এখান থেকে এই হার ১০শতাংশ এর নিচে নামাতে না পারলে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হবে না। আর তা না হলে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে না। সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক অহেতুক সমালোচকদের সমালোচনা উপেক্ষা করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলো যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে সুদের হার কমিয়ে বিনিয়োগ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।
২০০৯ সাল থেকে দেশে যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। উপরে আলোচিত বিষয়গুলো যথাযথ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বজায় থাকবে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। সাধারণ মানুষ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অর্জন করবে অর্থনৈতিক মুক্তি। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উঠে আসবে উন্নত দেশের কাতারে। বিদেশিদের মুখে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হবে শ্রদ্ধার সঙ্গে। অন্যথায় দেশ আবার পিছিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় সাম্প্রদায়িকতার, বর্বরতার যুগে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)