বাংলাদেশিরাই পারে নিজেদের নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে, এর জন্য বিদেশি মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক।
কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠনের নিয়মিত আয়োজন ‘ডিক্যাব-টক’-এর অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক।
এলিসন ব্লেক বলেন, বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচারও সমর্থন করে ব্রিটেন। তবে এক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে নাক গলাবো না। আশা করবো- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই হবে। কেননা দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই সেটা জরুরী। আমরা মনে করি, সামনের নির্বাচনটা যতটা সম্ভব অংশগ্রহণমূলকও হবে।
দু’দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে সম্পর্ক বদলে ‘অনুদান থেকে বাণিজ্যে’র দিকে যাবে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ধরে রাখতে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের এ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টার কথা বলেন হাইকমিশনার। কথা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়েও।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মামলা কিংবা বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে লন্ডনের অবস্থান জানিয়ে দেন এ কুটনীতিক।
তিনি বলেন, আমরা জানি, বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা এখন সবাই সেদিকেই তাকিয়ে আছে। তাদেরও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করছি জনগণ তাদের পছন্দের মানুষকে নির্বাচনের সুযোগ পাবে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশিরাই পারে নিজেদের নির্বাচনের পথ খুঁজে নিতে, তার জন্য আমাদের মতো বিদেশিদের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই। আর আমরা কোন ব্যক্তিগত মামলা কিংবা বিচারিক আদালতের প্রক্রিয়া নিয়েও মন্তব্য করি না।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করার পাশাপাশি তাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
দেখুন পান্থ রহমানের ভিডিও রিপোর্ট: