দেশে আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির বিএনপির সমর্থক প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ ( এ্যাব) আয়োজিত ইফতারে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়, শান্তিতে থাকতে চায় ও দেশের উন্নয়ন চায়। কিন্তু সরকার জনগণকে এগুলো দিতে পারছে না। আর এই জন্য আমাদের নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় দেশ আরো ভয়াবহ অবস্থার দিকে চলে যাবে।
ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম আমদানি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরপরও দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী আরামে মন্ত্রিত্ব করে যাচ্ছেন। এ সরকার লুটপাটে ব্যস্ত। পচা গম নিয়ে আসার পর তাদের বিচার হয় না। এ গম কাবিখা, টিআর-এ ব্যবহার করা হবে। এ গম আস্তে আস্তে শহরেও আসবে।
নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপে দেশের বিচার বিভাগ আগের চেয়েও নিয়ন্ত্রিত মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমি বলতে চাই, দেশে কি আইনের শাসন আছে, সকলের জন্য আইন সমান- এটা কি সত্য কথা? না, তা ঠিক নয়। কারণ আমরা দেখেছি, সরকারি দল হলে এক রকম বিচার হয়, বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষ হলে আরেক রকম। এটা চলতে পারে না।
বিচার বিভাগ পৃথক হলেও স্বাধীন হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এখনো হরণ ও খর্ব করা হয়। এখন বিচার বিভাগ আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। দেশে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন না থাকার কারণে আইনের দুইরকম প্রয়োগ হচ্ছে।
সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে জানিয়ে খালেদা বলেন, বিএনপির এমন একজনও নেই, তার বিরুদ্ধে মামলা নেই। বিএনপির কি সব অপরাধী? আর আওয়ামী লীগের কি সব সুফি হয়ে গেছে? বিএনপির নেতাকর্মীরা নাকি গাড়ি পোড়ায়। পুলিশও যেভাবে সাজিয়ে দেয় বিচারকরা তা ভালোভাবে দেখে না। তারা (বিচারক) একতরফা শাস্তি দেয়। এ কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের দিনের পর দিন কারাগারে রাখা হয়, শাস্তি দেওয়া হয়।
বিএনপি গাড়ি পোড়ানোর রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না দাবি করে তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এখন বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে বিচারকরা বেশি নিয়ন্ত্রিত। এজন্য দেশে আজ ন্যায়বিচার নেই, আইনের শাসন নেই।
অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, প্রত্যেকেই বলছে একটা নির্বাচন দরকার। তবে সেটা আওয়ামী লীগ মার্কা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো নয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি গ্রহণযোগ্যমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।