অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, চলতি বছর নির্বাচনকে ঘিরে বাজারে টাকার ছড়াছড়ি হবে। কালো টাকার প্রবাহ বাড়বে। তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সাবধান থাকতে হবে।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রূপালী ব্যাংকের ব্যবসায়িক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর হলো নির্বাচনের বছর। এ সময় বাজারে টাকার ছড়াছড়ি বেশি হবে। কালো টাকাও আসবে বাজারে। তাই এ বছর অর্থের প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ভাল নয়। কিন্তু না। বর্তমানে এ খাতের অবস্থা খুব খারাপ নয়, আমি মনেকরি বরং মোটামুটি ভাল। কারণ এ খাতের অবস্থা ভাল না থাকলে অর্থনীতির এতটা উন্নতি হতো না।
‘তবে বর্তমানে ডিপোজিট অ্যাডভান্স রেশিওর (আমানত ও ঋণ বিতরণের) হার একটু বেশি। এটাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংক করবে।’
আগামী বাজেটে ব্যাংকিং খাতের জন্য আরো বেশি বরাদ্দ রাখা হবে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, প্রতি বছর ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি মেটাতে বাজেট থেকে কিছু টাকা যোগান দেয়া হয়। অনেকে বলে থাকেন বাজেট জনগণের টাকা। এ টাকা থেকে ব্যাংকে দেয়া ঠিক নয়।
‘নো। এটা ঠিক। কারণ আমরা কোনো একটি ব্যাংকের বিপর্যয় হতে দিতে পারি না। কারণ কোনো একটি ব্যাংকের সামান্যতম ক্ষতি হলে তা পুরো ব্যাংকিং খাতকে ধ্বংস করে দিবে। এটা কোনো সরকার সহ্য করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, আগামী বছরে বাজেটে অতিরিক্ত প্রভিশন বা সঞ্চিতি রাখা হবে। যেসব ব্যাংকের মূলধন নিয়ে সমস্যা আছে তা এই সঞ্চিতি থেকে সরবরাহ করা হবে।
এর আগে রূপালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান ব্যাংকটির বর্তমান মূলধন ৩৪৬ কোটি টাকা থেকে ৯শ কোটি টাকায় উন্নীত করার অনুরোধ জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন,আগামী বাজেটে রূপালি ব্যাংককে মূলধন যোগান দেয়া হবে। তবে ব্যাংকগুলোকে এসএমই খাতে বেশি ঋণ দিতে হবে। কারণ এ খাতের উন্নতি হলে দেশের উন্নতি হবে। তাই এ খাতের উদ্যোক্তাদের সম্মান দেখাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইউনুসুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন প্রমুখ।