কারাগারে বিনা কারণে আটকে থাকা বন্দীদের তালিকা বের করে তাদের আইনী সহায়তা
দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের
অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, সরকারী আইনী সেবা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে
দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি।
নিম্ন আদালতের রায়ে সংক্ষুব্ধ, সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে আগ্রহী এমন অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মামলা পরিচালনার ভার বহন করে আসছে সরকার। গত ৭ বছরে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫শ’৮৩ জন এ সহায়তা পেয়েছেন।
চতুর্থ বারের মতো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে এ প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে নিতে জাতীয় হেল্প লাইন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক-ছয়-চার-তিন-শূন্য নম্বরে ফোন করে আইন সহায়তার খুঁটিনাটি জানা যাবে হেল্প লাইন থেকে।
এ উদ্যোগ অবহেলিত মানুষের বিচার পাওয়া নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন অনেকেই আছেন যারা বিনা করণে বছরের পর বছর জেলে বন্দি রয়েছেন, তারা নিজেরাই জানেন না তাদের অপরাধ কী। এসব মানুষদের বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা দিলে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।
পুরনো আইনগুলোকে নতুন আঙ্গিকে করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃস্থ মানুষকে সহায়তা করতে হবে। সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে বহু অসহায় মানুষ আছে, তাদেরকে সহযোগিতা করা আমাদের টার্গেট।
তিনি আরো বলেন, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদেরকে বিনা খরচে সহায়তা দেয়া হবে। আমরা চাই দেশ সুষ্ঠুভাবে চলুক, দেশে আইনের শাসন আরো জোরদার হউক, সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হউক।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।