টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটটা তিনি ছেড়ে দিয়েছেন এক বছর আগে। তারপরও টি-টুয়েন্টি নিয়েই ইদানিং সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া হোম সিরিজে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল বিপর্যস্ত। তাই লঙ্কান মাটিতে হতে যাওয়া নিধাস ট্রফি টাইগারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে বলেই মনে করেন ম্যাশ।
ওয়ানডে অধিনায়ক মনে করেন, দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে জরুরিভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটা-দুটো জয় দরকার। আসন্ন নিধাস ট্রফিতে সেই সুযোগ আছে দলের সামনে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী টুর্নামেন্টে টাইগারদের জন্য বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে।
বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুঃসময় বা কঠিন সময় কাটিয়ে ফিরে আসার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার নামটি মাশরাফী। ম্যাশও বলছেন, বাজে সময় কাটবেই, আলো আসবেই, ‘কঠিন সময় তো অবশ্যই যাবে, সেটাকে ঠাণ্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং মাঠের কাজগুলো ঠিকমত করতে হবে।’
‘খারাপ সময়গুলো এলে হয় কি সবকিছু অস্থির হয়ে যায়, আর আমাদের এখানে সেটা আরো বেশি হয় এবং সেটা খুব তাড়াতাড়ি হয়। আবার দেখবেন আমরা একটু ভাল খেললে, বেশি ভাল’র দিকে চলে যায়। এটাতে ঠাণ্ডা মাথায় ভারসাম্য রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আসল ব্যাপার হল, সময়টা কঠিন যাচ্ছে এবং সাকিবের ব্যাপারেও আমরা পরিষ্কার না যে, ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে খেলতে পারবে কিনা। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে দল যেহেতু একটু চাপে আছে তাই অপ্রয়োজনীয়ভাবে সেখানে চাপ প্রয়োগ করা ঠিক হবে না। আশা করি দল সেখানে ভাল খেলবে।’ যোগ করেন মাশরাফী।
নিধাস ট্রফিতে প্রায় অর্ধেক শক্তির দল দিয়েছে ভারত, দেশের মাঠের চাপ নিয়ে খেলতে হবে চোটগ্রস্ত শ্রীলঙ্কাকে। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে তাহলে কি ফেভারিট বাংলাদেশ? ম্যাশ বলছেন অন্যকথা- মাঠের ভেতরে বাইরে চ্যালেঞ্জের পর চ্যালেঞ্জ নিতে হবে সাকিব-তামিমদের। তবে নিজের ছেলেদের উপর আস্থা রাখছেন তিনি।
মাশরাফী বললেন, ‘অনেক কঠিন হবে। তবে আমাদের লড়াই করতে হবে। কঠিন সময় যাচ্ছে, এজন্য লড়াই অবশ্যই করতে হবে। ভারতের যে দলই আসুক না কেন, তারা যে পরিমাণ আইপিএল ও ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেলে তাতে আন্তর্জাতিক স্বাদ সেখান পেয়ে থাকে। বিরাট কোহলি নাই, তবে যারা আছেন তাদের শক্তিও যথেষ্ট।’
৬ মার্চ কলম্বোয় শুরু হবে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কার নিধাস ট্রফি। ৮ মার্চ ভারতের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে শুরু টাইগারদের মিশন।
ভিডিও রিপোর্ট: