বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১০০তম আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পেয়েছে টাইগাররা। টানা তিন জয়ের জন্য স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের করতে হবে ১২৯ রান।
রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের তৃতীয়টিতে টম ল্যাথামের দলের বিপক্ষে টসে হেরে আগে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ পান মাহমুদউল্লাহরা। বলে শুরুর অর্ধে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলেছেন মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনরা।
ইনিংসের পরের অর্ধে প্রতিরোধের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১২৮ পর্যন্ত যায় নিউজিল্যান্ড।
শুরুটা করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১০ বলে ১৫ করা ফিন অ্যালেনকে কাটারে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানান। নিজের প্রথম ওভার উইকেট-মেডেন করেন বাঁহাতি পেসার।
পরের আঘাত সাইফউদ্দিনের। ২০ বলে ২০ করা উইল ইয়াংকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। তৃতীয় আঘাতও পেস-অলরাউন্ডারের, এবার রানের খাতা খোলার আগেই এলবিতে সাজঘরের পথ দেখান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে।
আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র টিকে ছিলেন। তাকে ফেরাতে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বোল্ড করেন। ২০ বলে ২০ রানের ইনিংস থামে।
দ্বিতীয় ম্যাচের অপরাজিত ফিফটিয়ান টম ল্যাথাম এদিন করতে পেরেছেন সবে ৫ রান। প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে পাঠান মেহেদী হাসান।
প্রথম ম্যাচে ৬০ রানে গুঁটিয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ড তখন ১০.৫ ওভারে ৬২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে। উইকেটে হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। এই দুজন পরে প্রতিরোধ গড়ে বসেন।
নিকোলস ও ব্লান্ডেল ৫৫ বলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি। নিকোলস অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে, ৩ চারে ২৯ বলের ইনিংস তার। ব্লান্ডেল সমান চারে ৩০ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
মেহেদী ৪ ওভারে ২৭ রানে এক উইকেট নেন। ২ ওভারে ১০ রানে উইকেটশূন্য নাসুম। সাকিব উইকেটশূন্য ৪ ওভারে ২৪ রানে। ৪ ওভারে এক মেডেনে ২৯ রানে ১ উইকেট মোস্তাফিজের। ২ ওভারে ১০ রানে ১ উইকেট মাহমুদউল্লাহর। ৪ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে ২৮ রান খরচ সাইফউদ্দিনের।
গত বুধবার নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে গুঁড়িয়ে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শুক্রবার ৪ রানে জিতে করে ২-০। রোববার জিতলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হবে নিশ্চিত।