চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিউ ইয়ার উদযাপনের কাঙ্খিত ও আকর্ষনীয় কিছু স্থান

এরই মধ্যে ‘নিউ ইয়ার’ এর  কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে, আসছে পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মুহূর্ত। বিশেষ সময়টা একেকজন একেকভাবে পালন করতে চান। ভ্রমণপাগল ও উৎসবমূখর মানুষরা নিউ ইয়ার উদযাপনের জন্য বেছে নেন নিজেদের পছন্দের কিছু স্থান।

এবারের নতুন বছরের শুরুতে আপনার গন্তব্যও হতে পারে তেমন কোনো জায়গা। আসুন জেনে নেই বিশ্বের কিছু 11 স্থান, যেখানে নিউ ইয়ার উদযাপন বরাবরই অন্যরকম।

ইতালির মাতেরা: বন আর পাহাড়ে ঘেরা সাউদার্ন ইতালীর এই জায়গাটির নিজস্ব কিছু সৌন্দর্য আছে। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শহরগুলোর একটি নির্ধারিত হয়েছিলো এই শহরটি।  ২০১৯ সালের মধ্যে এই শহরটি হয়ে উঠবে ইউরোপের সংস্কৃতির রাজধানীর শহর। আর নতুন বছর উৎযাপনে খোলা আকাশের নিচে আয়োজন, ১৫০ ধরনের পোশাক পরে পারফর্মেন্স আপনাকে নতুনভাবে জীবনকে দেখতে সাহায্য করবে।

এই শহরটিতে গেলে বাকান্তি খাবারটি অবশ্যই টেস্ট করে দেখবেন। নানান ধরনের মানুষ আপনার ভ্রমণকে করবে আরো প্রাণবন্ত।

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন: নতুন বছরের শুরুতে এই অস্ট্রেলিয়ান শহরটিতে ছাদের উপরে বারে সেলিব্রেশনের কোনো বিকল্প নেই।  আর শহরের ভেতরে কার্টিন হাউজ  ও লুপ রুফ নামের রুফটপ বারটি অবশ্যই একবার ভ্রমণ করে আসবেন।  তবে এই শহরে বসে খোলা আকাশ দেখতে চাইলে ফিটজরয়তে যাবেন অবশ্যই।

গ্রান কানারিয়ার লাস পালমাস: সেখানে গেলে নতুন বছরটা অনেক অনেক মজা দিয়েই শুরু হবে।  অন্তত এই ভেবে ভালো লাগবে যে স্প্যানিশ শহরে নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছেন আপনি।  চাইলে আপনি ভেগুয়েতাতে এক চক্কর দিয়ে আসতে পারেন আর কোনো রেস্তোরাঁয় বসে কানারিয়ান খাবার উপভোগ করতে পারেন। রাত ১২ টার আগে আগে কাউন্টডাউনের জন্য এলাকার মানুষ শহরের সমুদ্রতীরে একত্রিত হয় তারপর উপভোগ করে আতশবাজি।  তবে সেসময় সঙ্গে অবশ্যই ১২টি আঙ্গুর রাখবেন। কারণ স্প্যানিশদের ঐতিহ্য হলো তারা মধ্যরাতের প্রতিটি ঘণ্টার সঙ্গে একটি করে আঙ্গুর খায় সারাবছরের খারাপভাগ্য থেকে বাঁচতে।

বাহামাসের নাসাও: ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এই শহরটির মতো নতুন বছরের পার্টি আর কোথাও হয়না। ওখানে গেলে আপনার মনে হবে আপনি পৃথিবীর বাইরে কোথাও চলে এসেছেন। নাসাওয়ের মানুষ পুরাই নিজেদের মতো করে নতুন বছর উৎযাপন করে।  বাহামাসের সবচেয়ে বড় ও মূল আকর্ষণ হলো স্ট্রিট কার্নিভাল।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ওরলিনস: নিউ ওরলিনসে থাকলে অবশ্যই জ্যাকসন স্কয়ারে যাবেন। লাইভ গানের শো আর মিসিসিপি নদীর উপরে আতশবাজির ঝলকানিতে সেখানকার বাৎসরিক পার্টি খুবই উপভোগ্য। সেখানে ক্যাফে ডু মন্ডে কিন্তু দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই খোলা থাকে। একবার ঢুঁ মারতে ভুলবেন না।