পৃথিবীর সাড়া জাগানো পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস। সচরাচর বাংলা ভাষায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এবার পত্রিকাটি বাংলা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিশ্রুতির আখ্যান-‘নিজভূমে নির্যাতিত, পরভূমে আশা-নিরাশার দোলাচলে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা’-শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ২৫ আগস্ট, ২০১৯ তারিখে। প্রতিবেদনটি করেছেন হান্নাহ বিছ (HANNAH Beech)।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করা নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশা-নিরাশার যতো কথা, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক নৃশংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গাদের চরম অসহায়ত্বের কথা লিখে তার ভবিষ্যত সম্পর্কে বিশদ বর্ণনা প্রকাশ পেয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্বাস্তু শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছে-বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা আগমনের দুই বছর উপলক্ষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরতে শঙ্কা, মিয়ানমারের নানা কৌশলসহ বহুবিধ বিষয়ও উঠে আসে।
প্রতিবেদনটা শুরু হয় এভাবে- ‘এন খু ইয়া, মিয়ানমার — প্রত্যাবাসন কেন্দ্রের মরচে পড়া কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশটা শূন্য। কেউ নেই ওপাশে। প্রত্যাবাসীদের আগমন প্রতীক্ষায় তৃষিত নয়নে চেয়ে আছে ওটা- এরপর বিভিন্ন সাব হেড দেয়া হয়।। সাবহেডগুলো হলো-
যা পেয়েছি: প্রত্যাবাসনের অঙ্গীকার। ব্যর্থতা। পুনঃব্যর্থতা।
যা পেলাম: দেশের জন্য মন কাঁদে, কিন্তু মনে জেঁকে আছে ভয়
যা পেলাম: ছাইভস্মের ওপর গড়ে তোলা হয়েছে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি
যা পেলাম: খারাপ কিছু দেখব না
যা পেলাম: সীমান্তের ওপারে
সর্বশেষ একটি পাদটীকায় লেখা হয়: রোহিঙ্গাদের কেউই চায় না, এমনকি তাদের মাতৃভূমিও নয়।