নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সিটি নির্বাচনে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রস্তুতি। নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার। এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ১৯২টি ভোট কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা মার্কা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি মার্কা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি মার্কা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা মার্কা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ মার্কা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি মার্কা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া মার্কা)।
এছাড়াও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১৪৮ জন। আর সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রাথী ৩৪ জন।
নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন। নির্বাচনে ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছেন। প্রতি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬জন করে সদস্য আছেন।
নাসিক নির্বাচনে র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স আছে ৩টি, চেকপোস্ট আছে ৬টি, টহল টিম আছে ৭টি ও স্ট্যাটিক টিমে আছে ২টি।