নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে একটি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ মে এই মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ৭ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সলিসিডর অফিসের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে আদেশ দেন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের স্ত্রী বিউটি ও চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল দুটি মামলা দায়ের করেন।
উপরোক্ত মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুন মামলায় সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত লে.কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। এছাড়া নয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে যারা কারাগারে আটক রয়েছেন তারা হাইকোর্টে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। আর নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে।
এরপর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এই মামলা দ্রুত শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশের পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য সকল নথি বিজি প্রেসে পাঠায়। এরপর গত ৭ মে বিজি প্রেস পেপারবুক প্রস্তুত করে হাইকোর্টে পৌঁছায়।