যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে নানান কর্মসূচিতে ইরানের তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত রাখা, শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন এবং বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিকালে শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত করেন।
ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম সরকার বলেন, জাতির জনকের যুগান্তকারী আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি কেবল স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, জাতি গঠনের কুশলী কারিগরও ছিলেন। তার নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ অবকাঠামো ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, মর্মে বঙ্গবন্ধু যে ঘোষণা দিয়ে গেছেন তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
এ সময় রাষ্ট্রদূত এএফএম গওসোল আযম জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় সিনিয়র সাংবাদিক এজাজ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গতিশীল বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে চক্রান্তকারীরা তাকে সপরিবারে হত্যা করে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কমার্সিয়াল কাউন্সেলর মোঃ সবুর হোসেন ও গবেষক মোঃ হেদায়েত উল্লাহ সাজু আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোঃ হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সাংবাদিক ও ছড়াকার সৈয়দ মুসা রেজা জাতির জনকের উপর স্বরচিত ছড়া পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী, ইরানি নাগরিক, তেহরানে অধ্যয়নরত বাঙালি শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মকচারী ও তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।