প্রমিত ভাষার মতো আঞ্চলিক ভাষারও সৌন্দর্য আছে। তবে কোনো অবস্থাতেই নাটকে আঞ্চলিক ভাষার নামে যেনো ভাষার বিকৃতি না হয় এমন পরামর্শ অভিনেতা-নাট্যকার এবং নির্মাতাদের।
তারা বলছেন, চরিত্রের প্রয়োজনে নাটকে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হবে, কিন্তু সেটা যেনো ভাঁড়ামো না হয়।
একটা সময়ে বাংলা নাটক ছিল দেশের মানুষের মূল বিনোদন। আশির দশকে বিটিভিনির্ভর বাংলা নাটকে মানুষ নাটকের সাথে একাত্ম হয়ে নাটক দেখে হেসেছে, কেঁদেছে। পরের দিকে ‘প্যাকেজ নাটকের যুগে’ও জনপ্রিয় হয়েছে ইমপ্রেসসহ অন্যদের বাংলা নাটক।
নাটকে স্বাভাবিকভাবেই আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার তখনো ছিল, এখনো আছে। তবে এখনকার অনেক নাটকে ভাষার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অভিনেতা-নির্মাতারা বলছেন, ভাষা সংস্কৃতির প্রবাহমান এক ধারা। ভাষাকে ঘিরে আবর্তিত হয় জীবনাচার। এক্ষেত্রে নব্বই দশক এবং একবিংশ শতকে নাটকে বাংলা ভাষার ভিন্ন ব্যবহার লক্ষণীয়।
তারা বলছেন, যখন কোনো নাটকে গল্পের বুননে ভাষা ঠিকভাবে তুলে ধরা যায় না, আঞ্চলিক ভাষার নামে অশ্লীল ও উদ্ভট শব্দ ব্যবহার হয়; তখনই আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বেমানান ঠেকে।
অভিনেতা ও নিমার্তারা বলছেন, সারা বিশ্বেই নাটক হয় সমকাল আর সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে। এ ধারায় নাটকে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার হবে। কিন্তু, চরিত্রের প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবহার জরুরী।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: