কুখ্যাত নাইন ইলেভেনের ১৮ বছর পূর্তি আজ। দীর্ঘ এই ১৮ বছর পরও আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধ শেষ হয়নি।
বুশ-ওবামা শাসনামল পেরিয়ে চলতে থাকা যুদ্ধ বন্ধে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা মাঝপথে আটকে গেল, কেননা আলোচনা আর চালাতে চান না বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আফগানিস্তানের বড় অংশজুড়ে সক্রিয় তালিবানের দাবি, ছোটখাটো সহিংসতার অজুহাতে শেষ মুহূর্তে শান্তি আলোচনা ভেস্তে দিয়েছে ওয়াশিংটন। দেড় যুগের যুদ্ধে ক্লান্ত-সর্বস্বান্ত আফগানরা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে হামলা পাল্টে দিয়েছে বিশ্ব রাজনীতি। ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত হন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন।
ওই সময়ের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে না চাওয়ায় জবাব হিসেবে আফগানিস্তানে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী।
যুদ্ধের প্রথম দু’মাসেই তালেবান সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিল বাহিনীর অভিযানে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। আল-কায়েদা ও তালেবান নির্মূলে তারপরও আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলতে থাকে। দেশটিতে এখনো প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন-তালিবান শান্তি আলোচনার শর্তে ছিল, চুক্তি সইয়ের ২০ সপ্তাহের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তালেবান হামলায় এক মার্কিন সেনার মৃত্যুতে এতে বাধ সাধেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
১৮ বছর ধরে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত জানুয়ারিতে আফগান সরকার জানায়, শুধু শেষ ৫ বছরেই কমপক্ষে ৪৫ হাজার নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়েছেন। দেড় যুগ আগের নাইন-ইলেভেনের প্রভাবে আফগানিস্তানে এখনো রক্ত ঝরছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধ অবসানে কার্যকর আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
আরও দেখুন নাফিস ইফতেখারের ভিডিও প্রতিবেদনে: