আগামী মাসের মধ্যে রাজধানীর ৪৪ লাখ ভোটারের হাতে তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রথম যাত্রা। একইসঙ্গে সারাদেশের ৪৭ লাখ নতুন ভোটারের কাছে স্মাট কার্ড তুলে দেয়ার কথাও জানিয়েছে ইসি। পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কার্ড পাবেন সারাদেশের ভোটাররা। নিজ নিজ থানা নির্বাচন অফিসে যেয়ে রাজধানীবাসীকে পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বিনামূল্যে নিতে হবে প্রতিক্ষীত স্মার্ট কার্ড।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারে অবস্থিত কার্যালয়ে পুরোদমে চলছে কার্ড প্রিন্টিং এর কাজ। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতে কার্ড তুলে দিয়েই শুরু হবে স্মার্ট কার্ড বিতরণ।
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রকল্পের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ বলেন, “এটা যেহেতু বাংলাদেশের জন্য একটা মাইলস্টোন এবং টার্নিং পয়েন্ট, সে কারণে কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে মহানগর দিয়ে এটা শুরু করতে হবে। ঢাকা মহানগরের নতুন ভোটার যাদেরকে আমরা কার্ড দিতে পারিনি তাদেরটাও একইসঙ্গে করার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এই কার্ডগুলি প্রিন্ট হচ্ছে এবং প্রিন্ট শেষ হলে এই বছরের মধ্যে মানুষের হাতে পৌছানো শুরু করবো।”
রাজধানীবাসী এবং নতুন ভোটাররা শুরুতে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার সুযোগ পেলেও পরে সারাদেশের ভোটারদের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বিঘ্নে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেবার জন্য ইউনিয়নগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। তবে ১০ আঙ্গুলের ছাপ দিয়েই স্মার্ট কার্ড পাবেন প্রত্যেক ভোটার।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ বলেন, “আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ছোট ছোট ক্যাম্প করবো। সেই ক্যাম্পে হয়তো এখন যেভাবে রেজিস্ট্রেশন হয় এইভাবে তাদেরকে আহ্বান জানাবো যে আপনারা এসে পুরোনো কার্ডটা জমা দিয়ে নতুন কার্ডটা নিয়ে যান। অবশ্যই এটা বিনামূল্যে পাবেন তারা।”
দূর্গম এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
দেশে মোট ভোটার ৯ কোটি ৬২ লাখ। বিশাল এই তথ্য ভান্ডার বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো গড়ে তুলতে পারেনি। প্রায় ১০ কোটি মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রকে আরও আধুনিক করার জন্য স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়া হবে সব ভোটারের হাতে।