চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ডিসিসিআইর আশঙ্কা নতুন ভ্যাট আইনে পণ্যের দাম বাড়বে

আগামী অর্থবছরের বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল রেখে আইন পাশ হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার। একই সঙ্গে ভ্যাটের নেতিবাচক প্রভাবে দেশের অর্থনীতিও ছোট হয়ে আসবে বলে জানায় সংগঠনটি।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা বিষয়ক ঢাকা চেম্বারের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিসিসিআইর সভাপতি আবুল কাশেম খান। এ সময় চেম্বারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের মতে ভ্যাট আইন-২০১২ পাশ হলে পণ্যের দাম বাড়বে, কিন্তু সরকার বলছে বাড়বে না। আসলে কেন বাড়বে না এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুস্পষ্ট ধারনা দেয়া হয়নি।

ডিসিসিআইর সভাপতি বলেন, পণ্যে ভ্যাট বাড়লে দাম বাড়বে, ফলে চাহিদা কমবে। আর চাহিদা কমলে উৎপাদনও কমবে। এর ফলে অর্থনীতি ছোট হয়ে আসবে। এছাড়া বর্তমান আইনে রাজস্ব কর্মকর্তাদের জুডিশিয়াল ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা হয়রানীর শিকার হতে পারেন।

এমএসএমই খাত জিডিপিতে ৩০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে উল্লেখ করে তিনি  বলেন, বেসরকারি খাতের ৭৫ শতাংশ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান এসএমইর সাথে জড়িত। প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় এ খাত থেকে। অথচ নতুন ভ্যাট আইনে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই ভ্যাট ১৫ শতাংশে না করে ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।

এছাড়া টার্নওভার ট্যাক্স লিমিট বর্তমান ৮০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক টার্নওভার শূন্য থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ‘নো ভ্যাট’ এবং ৫০ লাখ থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, আসন্ন বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নারী ও বয়স্ক (৬৫ বছর) করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। এটা আগে ছিল চার লাখ ২৫ হাজার টাকা।

ডিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আয়কর সীমা বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে, বর্তমানে মানুষের জীবন-যাত্রার ব্যয় বেড়েছে। ফলে করমুক্ত আয়ের সীমাও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

যানজটে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে আবু কাশেম খান বলেন, এ ব্যয় কমাতে যানজট কর আরোপ, উচ্চহারে পার্কিং চার্জ, গাড়ির স্পীডভিত্তিক রাস্তা নির্মান করা দরকার।

এ সময় গ্যাসের নির্ভরতা কমাতে স্থানীয় কয়লা উত্তোলন করার পরামর্শ দেয়া হয় ডিসিসিআিইর পক্ষ থেকে।