আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাবার লক্ষ্য নিয়ে দেশজুড়ে ঘর গোছানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। মূল দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৫১টি টিম।
টিমগুলোর মধ্যে খুলনা ও মহানগরের দায়িত্বে থাকা যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি ও আন্দোলকে চাঙা করতে এই টিমগুলো ভূমিকা রাখবে।
সারা দেশে প্রতিটি জেলায় কর্মীসভা করে সেখানে জাতীয় রাজনীতি ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন: বিএনপির ৭৫টি রাজনৈতিক জেলায় এই ৫১টি টিমের নেতারা কর্মীসভায় অংশ নেবেন যা বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি আরো শক্ত করবে, নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি হবে।
‘ওই উদ্দীপনায় অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন আন্দোলনে নেতাকর্মীরা শক্তি পাবে,’ দাবি করে রিজভী জানান, গঠিত টিমগুলো এরইমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং যশোর অঞ্চলের জন্য গঠিত টিমের প্রধান অ্যাড. সৈয়দ মুয়াজ্জেম হোসেন আলালও জানালেন, টিমের মাধ্যমে দল গোছানোর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: টিমগুলো বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। প্রস্তুতি পর্ব এবং সেখানে টিমে যারা দলনেতা থাকবেন তাদেরকে নিয়ে অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, সভাস্থল নির্ধারণ আর সভাগুলোতে কারা থাকবেন সেই বিষয়গুলো বেশিরভাগ জায়গায় ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।
‘আমি ৪ তারিখ যশোর যাচ্ছি। সেখানকার সভার ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে,’ জানিয়ে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে জেলা পর্যায়ের ৬শ প্রতিনিধি থাকবেন। একইভাবে অন্য টিমগুলোও তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। এটি একইসঙ্গে দলকে সুসংগঠিত করা, আন্দোলন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের প্রক্রিয়া।
এই ৫১টি টিমের কয়েকটির দায়িত্বে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় প্রায় সকল নেতা। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং মানিকগঞ্জের দায়িত্বে আছেন মহাসচিব।
টিম গঠন ও এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বিএনপি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। বিএনপির দিকে মানুষ তাকিয়ে আছে। মানুষের আকাঙ্খা পূরণে বিএনপিকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই প্রক্রিয়া আমরা শুরু করে দিয়েছি।
‘সংগঠনকে শক্তিশালী করা, রাজপথের আন্দোলন এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য দলকে তৃণমূল থেকে গুছিয়ে আনার কাজ করবে ৫১টি টিম।’
বিএনপি তাহলে এখন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনে বিজয়ী হয়েই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। বিএনপি কোন বিদেশি প্রভুর ওপর নয়, জনগণের রায়ের ওপর নির্ভর করে।
আগামী নির্বাচন একটি সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলেও মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।