ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি শুধু রিপোর্টারদের নিয়ে নয়, নতুন প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে বাঙালী হয়ে উঠুক এটা নিয়েও কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত দেয়ালচিত্র, চিত্রাঙ্কন উৎসব ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১২টা ১ মিনিটে আতশবাজির কর্মসূচি রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব। ডিআরইউ সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আবুল বারক্ আলভী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু ও রংধনু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আহমেদ অপু।
ডিআরইউ সদস্য সন্তানদের চিত্রাঙ্কন উৎসবের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামীকাল মহান বিজয় দিবস। শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশে আজকের এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি শুধু রিপোর্টার নিয়ে নয়, নতুন প্রজন্ম সত্যিকার অর্থে বাঙালী হয়ে উঠুক এটা নিয়েও কাজ করছে।
তিনি বলেন, ২৫ বছর ধরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ব্যতিক্রমী সংগঠন হিসেবে মুক্তমত ও বিভেদমুক্ত সমাজ গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার নেতৃত¦ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার ইতিহাসে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, এখনো হচ্ছে।
এসময় তিনি শিশু-কিশোরদেরকে সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশ গঠন করতে হলে মানুষের সামনে যেমন আশা থাকতে হবে, তেমনি জাতির সামনেও আশা থাকতে হবে। স্বপ্নহীন মানুষ যেমন স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারে না, তেমিন জাতিও পারে না। নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে হবে যাতে তারা যেন মেধা, মনন দিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারে।
চিত্রাঙ্কন উৎসবে ৪০ জন (ডিআরইউ সদস্যদের সন্তানরা) অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে তাদের শুভেচ্ছা সনদপত্র ও উপহার দেওয়া হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ওসমান গনি বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক শাহনাজ শারমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফি, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল উদ্দিন সুমন, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক কামাল মোশারেফ, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু, কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান জাবেদ, মাহমুদুল হাসান, সোলায়মান সালমান, সুশান্ত সাহা, মো: আল-আমিন, এসকে রেজা পারভেজ ও মো: তানভীর আহমেদ।