সম্ভাব্য সিটি বা ওয়ার্ড পিতারা কেউ খোঁজ নেননি এই শহরেই চিকিৎসাধীন
পেট্রোল বোমায় আহতদের। নির্বাচনী প্রচাণায় ব্যস্ত সময় পার করে কারো সময়
হয়নি একবার বার্ন ইনস্টিটিউটে যাওয়ার। এ জন্য আহতদের কোন অক্ষেপ নেই। তবে তারা চাইছেন নগরীতে কেউ যেন পেট্রোল বোমায় না পোড়ে তার নিশ্চয়তা।
সিটি নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিনত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। নানাভাবে প্রার্থীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রচারণা। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন মেয়র আর কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তিলোত্তমা ঢাকাকে স্বপ্নের ঢাকায় রূপ দিতে প্রায় সব প্রার্থীরাই ইতিমধ্যে ইশতেহারও ঘোষণা করেছেন। কেউ কেউ চালাচ্ছেন সমস্যা নির্ণয়ে জরিপ।
একদিকে নির্বাচন নিয়ে এমন উৎসবের আমেজ আর অন্যদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে পোড়ার যন্ত্রণায় দিন পার করছেন রাজনৈতিক সহিংসতায় আহতরা। পেট্রোল বোমায় আহত এসব মানুষগুলো ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি।
রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার এই মানুষগুলো আজ অসহায় জীবন পার করলেও সিটি নির্বাচনের কোন প্রার্থী খোঁজ রাখেনি তাদের। আহতদের খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেলে গেলে তাদের স্বজনরা বলেন, একদিকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর অন্যদিকে তারা পঙ্গু হয়ে, না খেয়ে কষ্ট করে দিনাতিপাত করছেন।
কেউ কেউ বললেন, মেয়র প্রার্থীদের উচিত ছিল বার্ন ইউনিটে পোড়া এই মানুষগুলো কীভাবে কত কষ্টে আছে তা দেখে আসা, একটু সান্ত্বনা দিয়ে আসা। আমরা আর্থিক সহায়তা চাই না। চাই আগামী দিনে যারা এই নগরীর বা ওয়ার্ডের পিতা হবেন তারা যেন রাজনৈতিক সচেতন হন। আর কাউকে যেন পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হতে না হয়।
শুধু উন্নয়নমুখী সিটি করপোরেশন নয়, নগরপিতা ও ওয়ার্ড পিতাদের মানবিক হওয়ারও আহ্বান জানান তারা।