একটা সরল হিসেব নিয়ে ঘরের মাঠে নাপোলির বিপক্ষে নেমেছিল লিভারপুল। কোনরকমে জিতলেই নকআউটে চলে যাবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। কিন্তু সহজ হিসেবের মতো ম্যাচটা সহজ ছিল না তাদের জন্য। শেষ পর্যন্ত জিততেও পারেনি তারা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে করেছে অলরেডরা। ফলে নকআউটের অপেক্ষা বেড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। তাদের মতোই অবস্থা আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসির। তারা ড্র করেছে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে।
প্রিমিয়ার লিগে এক অপ্রতিরোধ্য দলের নাম লিভারপুল। ১২ ম্যাচের একটিতেও হারেনি তারা। অন্যদের চেয়ে শিরোপা দৌড়ে বেশ এগিয়েও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরুটা হয় অন্যরকম। সেপ্টেম্বরে প্রথম দেখায় ইতালিতে গিয়ে নাপোলির কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল তারা।
এদিনও ম্যাচের ২১ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ড্রিস মের্টেন্সের গোলে ১-০তে লিড নেয় অতিথি নাপোলি। বিরতির আগে সেই গোল শোধ করতে পারেনি ক্লপের শিষ্যরা। ফলে পিছিয়ে থেকেই ব্রেকে যেতে হয়।
বিরতির পর ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় লভরেনের গোলে সমতায় ফেরে লিভারপুল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল করতে না পারলে নাপোলির বিপক্ষে পয়েন্ট হারায় ইংলিশরা। তাতে নকআউটের অপেক্ষা বাড়ল লিভারপুলের।
এই ড্র’তে নকআউট নিশ্চিত নয় নাপোলিরও। শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে পরের ম্যাচে সলজবুর্গের বিপক্ষে জিততেই হবে লিভারপুলকে, তা না হলে অন্য ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। নাপোলি তাদের পরের ম্যাচ খেলবে জেঙ্কের বিপক্ষে। জেঙ্ককে বুধবার রাতেই ৪-১ গোলে হারায় সলজবুর্গ।
৫ ম্যাচে লিভারপুলের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট, অবস্থান গ্রুপ ‘ই’তে শীর্ষে। নাপোলি ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দুই নম্বরে। সলজবুর্গের পয়েন্ট ৭। আর চারে থাকা জেঙ্কের পয়েন্ট ১।
জমে উঠেছে গ্রুপ এইচ’র লড়াই। বুধবার রাতে লিলেঁকে ২-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষে চলে গেছে আয়াক্স। তবে আটকে গেছে চেলসি। তারা ২-২ গোলে ড্র করেছে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে। ফলে এই গ্রুপে এখনো পর্যন্ত কোনো দলেরই নকআউট নিশ্চিত নয়। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট আয়াক্সের। সমানসংখ্যক ম্যাচে সমান আট পয়েন্ট করে চেলসি ও ভ্যালেন্সিয়ার। এক পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে লিলেঁ।
গ্রুপ জি’তেও একই অবস্থা। এখানেও কেউ নকআউট নিশ্চিত করতে পারেনি। এই গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লেইপজিক। তারা ২-২ গোলে ড্র করেছে বেনফিকার সঙ্গে। দুইয়ে থাকা জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গের পয়েন্ট ৭। একই রাতে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে লিওঁকে।