সকলকে চমকে দিয়ে দিন-দুয়েক আগে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার ধানুশ। ১৮ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ও তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া। টুইটারে এবং ইনস্টাগ্রামে তারা নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
রজনীকান্তের বড় মেয়ে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ধানুশের বিচ্ছেদের কথা উঠে আসতেই বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিনেতার বাবা ও তামিল ছবির পরিচালক কস্তুরী রাজা। তার ছেলের বিচ্ছেদকে ‘পারিবারিক বিবাদ’ বলে দাবি করে বসেন পরিচালক।
গত ১৭ জানুয়ারি বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন তার ছেলে এবং পুত্রবধূ। অথচ পরিচালকের স্পষ্ট মন্তব্য, ধানুশ-ঐশ্বরিয়ার নাকি বিচ্ছেদই হচ্ছে না। তিনি বিচ্ছেদের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং গুজবের তকমা দিয়েছেন।
২০০৪ সালে রজনীকান্তের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন ধানুশ। দুই ছেলে যাত্রা ও লিঙ্গার বাবা-মা এই তারকা দম্পতি। ‘দৈনিকসংখ্যা’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধানুশের বাবা কস্তুরি রাজা বলেন, ‘ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়ার মধ্যে বিবাদ চলছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেমন সাধারণত হয়। তবে এর মানে এই নয়, তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। এটি পারিবারিক বিবাদ, শিগগির শেষ হবে। বিবাহবিচ্ছেদ নয়। এই মুহূর্তে চেন্নাইতে নেই ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া। দু’জনেই হায়দরাবাদে। আমি ফোন করে তাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু পরামর্শ দিয়েছি’।
দম্পতির ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, এই বিচ্ছেদের আভাস নাকি আগেই মিলেছিল। কাজের জন্য পরিবারকে নাকি একদমই সময় দেন না ধানুশ। দুই ছেলে যাত্রা এবং লিঙ্গার সঙ্গে বেশিরভাগ সময় কাটান ঐশ্বরিয়া।
সোমবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া জানিয়েছেন, ‘বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথ চলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। আমি আর ঐশ্বর্যা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুগল হিসেবে এতদিন থেকেছি। এবার নিজেদের নিজেদেরকে বোঝার পালা’।
আরও যোগ করেন, ‘আগামীদিনগুলোতে বরং একে অপরকে বোঝার জন্য আর একটু সময় দেব। সকলের কাছে অনুরোধ অনুগ্রহ করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেবেন।’