চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ধর্ষণ মামলা পাল্টে দিয়েছিলেন সিভিল সার্জন

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা একটি মামলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আলামত না দেখানোর বিষয়টি অনুসন্ধান করে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এই নির্দেশ দেন।

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীর মা দানেশ চৌকিদারসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।

ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন দানেশ চৌকিদার। এ জামিন আবেদনের শুনানিতে নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে অসামঞ্জস্য পেলে আদালত ৭ মে এক আদেশে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে ২২ মে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ অনুসারে বুধবার পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন শাহ মোজাহেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানি নিয়ে আদালত দানেশ চৌকিদারের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।

আজ আদালতে দানেশ চৌকিদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তুষার বণিক। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

আদেশের বিষয় আইনজীবী ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ধর্ষণের শিকার নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক হচ্ছেন ড. মো: রেজাউর রহমান। আর সিভিল সার্জন ছিলেন শাহ মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম। আর ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বর্ণনায় চারটি ক্ষতের কথা উল্লেখ আছে। অথচ মন্তব্য অংশে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হয়েছে, যা দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে গরমিল থাকায় পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসা বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।