দীর্ঘদিনেও দেশে আনা সম্ভব হয়নি বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৬ খুনিকে। তাদের কবে আনা সম্ভব হবে সে বিষয়েও নিশ্চিত নয় সরকার। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দ্রুত দেশে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন উচ্চ আদালত। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, আর্টিলারি মুহিউদ্দিন আহমদ, বজলুল হুদা এবং ল্যান্সার এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের ৬ জন এখনও বিদেশের মাটিতে পলাতক রয়েছে। কুটনৈতিকসহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আছেন রাশেদ চৌধুরী এবং রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। নূর চৌধুরী আছেন কানাডায়। অপর ঘাতক খন্দকার আব্দুর রশিদ লিবিয়া অথবা কেনিয়ায়, শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তান এবং আব্দুল মাজেদ ভারতে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। সে সময় তিনি জানান, রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফাঁসির রায় বহাল থাকায় নূর চৌধুরীকে ফেরত দিতে অপারগতা জানিয়েছে কানাডা সরকার।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের টাস্ক ফোর্স-এর উদ্যোগের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট এখনো বহাল। খুনীদের অবস্থান নিশ্চিত করে দ্রুত তাদের দেশে আনা সম্ভব হবে। ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকার পরও সে দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কেউ পালিয়ে আছে কিনা, তা গত কয়েক বছরেও নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার।