দেশের বিত্তশালীরা একটু হাঁচিকাশি হলেই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি এতে কিছু মনে করি না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং কনভেনশন সেন্টার, ডায়াগনস্টিক ও অনকোলজি ভবন ও ডক্টরস ডরমিটরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় শুধু চিকিৎসা সেবা দেয়াই না, এটি যেন আরও উন্নতমানের, আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘তবে এটা ঠিক, আমাদের দেশে এখন অনেক ধনী শ্রেণি গড়ে উঠেছে। তাদের একটু অসুখ হলে, হাঁচিকাশি হলেই বিদেশে যেতে চান। আমি এতে কিছু মনে করি না। অনেকে মনে করেন, বিদেশে যাবেন না, ঢাকায় চিকিৎসা করাবেন। আমি মনে করি, যারা অনেক অর্থশালী, সম্পদশালী, তারা যদি বিদেশে যান আমার আপত্তি নেই।
‘কারণ, তাহলে আমার এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তরা একটু জায়গা পাবেন। চিকিৎসা করার সুযোগ পাবেন। সেজন্য এই সুযোগটা তাদের কাছেই থাক। আর বড়লোক যারা আছেন, অনেক পয়সার মালিক, তারা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে যাক। তাতে আমার এখানেও জায়গা খালি হলো, আমার সাধারণ মানুষগুলোও চিকিৎসা পেল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএসএমএমইউ এখন সাধারণ মানুষের ভরসাস্থলে পরিণত হয়েছে। এতে আরও অনেক উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে। চিকিৎসক এবং নার্সদের জন্যও আরও বেশি উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
‘আমি আশা করি আমাদের চিকিৎসক সমাজ গবেষণা করে চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
‘যখন এই বিশ্ববিদ্যালয় করি, আমি এখানে একটি আলাদা ফান্ড করে দিয়েছিলাম। সেখানে জমা থাকা অর্থের যে সুদ হবে, সেখান থেকে একেবারে দরিদ্র রোগী, যাদের টাকাপয়সা দেয়ার সামর্থ্য নেই, তারা আবেদন করলে যেন টাকা ও চিকিৎসা পান। আমি চাইছি ওই ফান্ডে কিছু টাকা বাড়াতে।’
তাই প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বিএসএমএমইউ’র সেই ফান্ডে দেয়ার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।