দেশে ভোগ্যপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দেশবাসীর পাশাপাশি সাবেক ছাত্র নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সোমবারএক বিবৃতিতে বলা হয়: চাল ,ডাল ,তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে বহু আগেই , করোনার কারণে বেকারত্ব বেড়েছে ও উৎপাদন কমে গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাজার আরও অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক শ্রেনীর মাফিয়া গোষ্ঠী রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেট তৈরি করে যখন ইচ্ছা দ্রব্যমুল্যের দাম বাড়ায় আর মুনাফা লুটে নেয়, এই সিন্ডিকেটের ব্যাপারে দেশের সর্বস্তরের মানুষ কথা বললেও সরকার ও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব।
আরও বলা হয়: এই অবস্থায় সাবেক ছাত্রনেতারা জন সাধারণের দুর্ভোগ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে মাননীয় হাইকোট ও মাফিয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ছাত্র নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বাজার মনিটরিং তৎপরতা বাড়ানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় সিন্ডিকেট চক্রকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান। সেই সাথে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতর রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানানা। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ৮২-৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাবেক ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে সাক্ষরকারী সাবেক ছাত্রনেতারা হলেন: শফি আহমেদ, নাজমুল হক প্রধান, মোস্তফা ফারুক, নুর আহমেদ বকুল, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আখতার সোবহান মাশরুর, আমিনুল ইসলাম, মনসুরুল হাই সোহন, সুজাউদ্দিন জাফর, মুখলেছউদ্দিন শাহীন, রাজু আহমেদ, হারুন মাহমুদ, রেজাউল করিম শিল্পী, সালেহ আহমেদ, জায়েদ ইকবাল খান, কামাল হোসেন বাদল, বদরুল আলম, সিরাজুম মূনীরসহ অনেকে।