করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের পর দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া এখন অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভ্যাকসিন সরবরাহে শিথিলতা ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বিশেষত ভারতের সংকটের ফলে এই দুশ্চিন্তা আরো দ্বিগুণ করেছে। প্রথম ডোজের পর মানুষ দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য অধীর প্রতিক্ষা করছে।
এমনই সময় নতুন গবেষণা বলছে, প্রথম ডোজ ভ্যাকসিনের পর দেরিতে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে অ্যান্টিবডির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ২০-৩০০ শতাংশ বেশি।
প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ভ্যাকসিনে তা প্রমাণিত হয়েছে। পরে যুক্তরাজ্য এবং ভারতেও এমন উদ্যোগ নিয়েছে। মারাত্মক বিপর্যয়ের মাঝে ভারত দ্বিতীয় ডোজ ১২-১৬ সপ্তাহের পরামর্শ দিচ্ছে। অন্যান্য দেশও অনুরূপ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে এমনটা প্রমাণিত হয়েছে। সিঙ্গাপুরের জন্য এটি সুসংবাদ হয়ে এসেছে। নগর রাষ্ট্রটিতে চার থেকে ছয় কিংবা ৮ সপ্তাহ কিংবা আরো বেশি সময় পর দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের কথা ভাবছে।
গবেষণা বলছে, প্রথম ডোজ প্রাথমিক প্রতিরোধ অ্যান্টিবডি তৈরি করে। দ্বিতীয় ডোজ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিবডি তৈরি করে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর দিলেও কার্যকারিতা বেশি হয়।
এনডিটিভি বলছে, ৮০ বয়স্কদের মাঝে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর দেখা গেছে যে, প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান তিন সপ্তাহের পরিবর্তে যদি তিন মাস পর আসে তবে অ্যান্টিবডির পরিমাণ সাড়ে ৩ গুন বেশি হয়।
সিঙ্গাপুর তাই বলছে, তারা আগে অধিক সংখ্যক মানুষকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগের অধ্যাপক ডেল ফিশার বলছেন, তারা দিনে ৪০ হাজার লোককে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন।
পরবর্তীতে দেরিতে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হবে বলছে কর্তৃপক্ষ। সিঙ্গাপুরে কয়েক লাখ মানুষ শিগগিরই প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পাবেন বলেই আশা তাদের।