কাস্টিং ডিরেক্টর থেকে অভিনেতা বনে যাওয়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় অভিনেতা আল পাচিনো। আর তার স্বপ্নের চরিত্র ১৯৮৩ সালের সিনেমা ‘স্যাক্রিফাইস’-এ আল পাচিনোর ‘টনি মন্টানা’। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি।
আইএএনএস-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘সারাজীবনই আল পাচিনোর প্রতি মুগ্ধতা কাজ করেছে। স্যাক্রিফাইস-এর টনি মন্টানা চরিত্রটি আমার কাছে স্বপ্নের মতো। কখনও এরকম কাজের সুযোগ পেলে, আমি নিশ্চিত যে খুবই ভালোভাবে করতে পারবো। এধরনের চরিত্রে যে এনার্জি থাকে, তা খুবই উপভোগ করার মতো। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখা যায় এই চরিত্রের মাধ্যমে।’
দিল্লীর থিয়েটারে বেশ কিছুদিন কাজ করার পর ১২ বছর আগে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাইতে আসেন অভিষেক। মুম্বাইয়ের খরচ সামলাতে হিমশিম খেয়ে তিনি কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। ২০১৮ সালে হরর কমেডি ‘স্ট্রে’ ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে যান তিনি। এরপর তার জীবন বদলে যায়।
অভিষেক বলেন, ‘স্ট্রে-এর আগে নিজেকে অভিনেতা ভাবতে সংকোচ হতো। নির্মাতারা আমার সম্পর্কে জানতেন না। যত মেধাই থাকুক, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে মেধা প্রকাশের সুযোগ নেই। স্ট্রে আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। পরিচিতি ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে। আমি আজ যেটুকু এগিয়েছি, সবই ওই ছবির কারণে। নির্মাতা অমর কৌশিককে সেজন্য ধন্যবাদ জানাই।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে আমি তামিল, তেলেগু, মালয়ালাম এবং বাংলা সহ সব ভাষায় কাজ করতে চাই। ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে থেকেছি। কারণ আমার বাবা সৈনিক ছিলেন। প্রতি চার থেকে পাঁচ বছর পর পর তার বদলি হতো। আমি পুরো ভারতের অভিনেতা হতে চাই।’
করোনা মহামারীর কারণে বেশিরভাগ ছবিই ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে। এই বিষয়টি সম্পর্কে অভিষেক বলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে নিজেকে বড় পর্দায় দেখাটা ছোট পর্দার চেয়ে বেশি আনন্দের। আমি অভিযোগও করছি না। কারণ, ওটিটি এমন একটি মাধ্যম যা সবাই দেখতে পারছেন।’
অভিষেককে সর্বশেষ দেখা গেছে নেটফ্লিক্সের ‘আজিব দাস্তানস’-এ। তার হাতে আছে ‘দোস্তানা টু’, ‘রাশমি রকেট’, ‘ভেদিয়া’, ‘আঁখ মিচোলি’ ও ‘হেলমেট।’ -কইমই