দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবীদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের প্রলুব্ধ করত প্রতারক একটি চক্র। তারা অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবীদের মোটা অংকের টাকা বেতন ও ব্যবসায়ের অংশীদারের প্রলোভন দেখাত বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনিভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আত্মসাৎকারী এক চক্রের মুল হোতা সহ ৫ প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের পিবিআই’র ঢাকা মেট্রো অফিসে সংস্থার অতিরিক্ত উপ-মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মাইনুল হাসান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আটককৃতরা হলেন- মো. হারুন-অর রশিদ ওরফে রামনাথ ঠাকুর (৫৬), সনজ সাহা ওরফে মো. উজ্জল চৌধুরী ওরফে জি মোস্তফা কামাল (৪৭), মো. শামসুল আলম মজুমদার ওরফে কোপা শামসু ওরফে মিজানুর রহমান(৪৮), আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন(৩৭), মো. মোকসেদুর রহমান আকন ওরফে আল আমিন(৩৮)।
তিনি বলেন, চক্রের এই সদস্যরা জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন, প্রাতভ্রমনের কালে চক্রের মাঠ পর্যায়ের সদস্যরা বিভিন্ন সরকারী অবসরপ্রাপ্ত চাকরীজীবীদের টার্গেট করত, প্রথমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং পরে ব্যবসায়ী অংশীদার করা কথা বলে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করতো।
মাইনুল হাসান বলেন, আমাদের কাছে এমন ১২টি অভিযোগ আসে, প্রতারক চত্রটি এদের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে এক অবসর প্রাপ্ত সচিব প্রতারিত হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর পল্লবীর একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। তিনি বলেন, চক্রের সদস্যরা খুব সূক্ষ্মভাবে টার্গেট করা লোকজনকে সুসজ্জিত ভুয়া অফিস দেখিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখাত, পরে কৌশলে ব্যবসায়ী অংশীদার বানানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস ছেড়ে পালিয়ে যেতো। চক্রটি মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে টাকা হাতিয়ে নিত।এমন আরো চার থেকে পাঁচটি চক্র আছে বলেও জানান তিনি।এছাড়াও রাজধানীর বাইরেও চক্রটি সক্রিয় ছিল।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক মো মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর খিলগাওঁ থাকায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ৭৭) দায়ের করা হয়।