সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ২০ উইকেটের দশটিই নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। অভিজ্ঞ এ বাঁহাতি স্পিনার ভূমিকম্পের মতো করেই ধস নামান কিউই শিবিরে। সিলেট টেস্টের পঞ্চম দিনের সকালে মাঠে বল গড়াতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে খেলায় বিঘ্ন ঘটেনি মোটেও। দিনের প্রথম সেশনেই প্রত্যাশিত জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে চারটি, দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাইজুলই।
১৫০ রানের জয় দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু করল বাংলাদেশ। গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথমবার টেস্ট জিতে অভিযান শুরু করেছিল টিম টাইগার্স। তবে সেই চক্রে আর কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টানা ১১ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট পায়নি বাংলাদেশ।
আগের চক্রের মতো এবার না হওয়ার সম্ভাবনারও জানান দিয়েছে নতুন শক্তির বাংলাদেশ। পূর্ণশক্তির নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেরা দল নিয়ে নিয়ে নামতে পারেনি বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল, এক্সপ্রেস পেসার ইবাদত হোসেন না থাকার পরও ইতিহাস গড়ে ফেলল নতুন চেহারার বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬, পরের ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি, দুই ইনিংসেই তাইজুলের ঘূর্ণিজাদু এনে দিয়েছে অবিস্মরণীয় জয়।
সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করে দুইশর দুয়ারে তাইজুল। ৪৩ টেস্টের ৭৬ ইনিংসে ১৮৭ উইকেট তার নামের পাশে। ইনিংসে ১২বার নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচে দুইবার ১০ উইকেট।
ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে তুলে তাইজুল বলেন, ‘দলগতভাবে পারফরম্যান্স করলে ফল আসে। সেটিই হয়েছে। সবাই ভালো করেছে। নিউজিল্যান্ড যেহেতু অনেক রানে পিছিয়ে ছিল আমরা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গেছি। অন্য কোনো ভাবনা ছিল না। এই জয় অনেক ভালোর লাগার। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলের জন্য অবদান রাখতে পারলে সবসময় ভালো লাগে।’
এক জয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বাংলাদেশ।