দেশে হত্যাযজ্ঞ চালু রেখে প্রধানমন্ত্রী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে আনন্দ ভ্রমণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন: একদিকে চালাচ্ছেন হত্যার মহাযজ্ঞ, আরেক দিকে একতরফা নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তিনি তার অনুগত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে সেটি দিয়ে এখন তিনি শান্তিনিকেতনে আনন্দ ভ্রমণ করছেন।
‘কোনো আলোচ্য সূচি নেই, কোনো ধরনের এজেন্ডা নেই, প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়ে খোশগল্প এবং রমজান মাসে তিনি সঙ্গীত উপভোগ করছেন। এটি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্লজ্জ তাচ্ছিল্য। এর মাধ্যমে তিনি দেশের জনগণকে অবমাননা করছেন’, বলেন রিজভী।
মাদকবিরোধী অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে রিজভী বলেন: মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গতরাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সকলের জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে।
‘যদিও বলা হচ্ছে তালিকা করে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের ধরা হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। আসলে মাদক ব্যবসার যারা গডফাদার তারা মূলত: আওয়ামী লীগেরই লোক। আর সেই কারণেই তারা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে’, বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন: গত নয় বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসার নেপথ্যের কারিগররা বিদেশে আয়েশি জীবন-যাপন করছে অথবা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হয়ে দেশেই বসবাস করছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও টেকনাফের এমপি মাদক সম্রাট বদিসহ আওয়ামী লীগের শত শত বড় বড় নেতাকর্মীদের নাম গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলেও এখনও পর্যন্ত তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হয়নি। দেশে মাদক বিস্তারের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ, তাদের আমলেই সকল সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদক এর চালান ঢুকছে বাংলাদেশে অত্যন্ত নিরাপদে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার,যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আব্দুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা নেছারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।