ফেরার খবরে বিমানবন্দরে হইচই হোক চাননি সাকিব আল হাসান। যে কারণে কবে, কখন দেশে ফিরছেন গোপন রেখেছিলেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে অনেকটা নীরবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
দেশের ক্রিকেটারদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার দায়িত্বে থাকা ওয়াসিম খান চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রাত আড়াইটার দিকে সাকিব ফিরেছেন। মার্চের মাঝামাঝিতে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। পরিবারের বাকি সদস্যদের রেখে এসেছেন সেখানেই।
নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষের পথে তাই বাড়তি সতর্কতা সাকিবের। নিষিদ্ধ ক্রিকেটারকে নিয়ে দেশের মিডিয়ায় খুব বেশি মাতামাতি হলে, সেটি তার জন্য ভালো হবে না। আইসিসি ভালো চোখে দেখবে না। ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের কাছে যেতে পারে নেতিবাচক বার্তা। নিষেধাজ্ঞা না ওঠা পর্যন্ত সাকিব নিজেকে তাই রাখতে চান আড়ালেই।
সব ঠিক থাকলে দুই মাস পর খেলতে পারবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এজন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পরিবার নিউইয়র্কে রেখে সাকিবের দেশে ফেরা। অনুশীলনের জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন বিকেএসপিকে। যেখানে সাধারণ মানুষ, এমনকি গণমাধ্যমের প্রবেশের অনুমতি নেই। সবার অলক্ষ্যেই সাকিব নিতে পারবেন মাঠে ফেরার প্রস্তুতি।
টাইগার অলরাউন্ডারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে শ্রীলঙ্কা গিয়ে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সফরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ২৩ অক্টোবর শুর হতে পারে বলে জানা গেছে বিসিবি সূত্রে।
ঠিক থাকলে নভেম্বরের শুরুতে লঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টাইগার অলরাউন্ডারের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ। কেননা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন চাইছেন সাকিবকে দ্রুত খেলায় ফেরাতে।
তার আগে উঠে যেতে হবে নিষেধাজ্ঞা। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসি সাকিবকে দেয় দুবছরের নিষেধাজ্ঞা। যার মধ্যে একবছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। নতুন করে কোনো বিতর্কে না জড়ালে শাস্তির পরের একবছর কার্যকর হওয়ার কথা নয়। সেজন্যই এতো তোড়জোড়। ২৯ অক্টোবর উঠে যাওয়ার কথা সাকিবের নির্বাসন রেখা।