বাংলাদেশে মৃত্যুর পর কর্নিয়া দান ও তা প্রতিস্থাপনের নজির থাকলেও শিগগিরই মরণোত্তর কিডনি দান ও প্রতিস্থাপনের যুগান্তকারী ঘটনা ঘটতে চলেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগ এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রস্ততি নিয়েছে। কোরিয়ার একটি বিশেষজ্ঞ দল এদেশে প্রথমবারের মতো মরণোত্তর দান করা কিডনি প্রতিস্থাপন করবে।
দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনো ধরনের কিডনি রোগে ভুগছে। এর মধ্যে প্রতি বছর ৮ লাখ মানুষের কিডনি ডায়ালাসিসের প্রয়োজন হয়। তবে মাত্র ৩০ হাজার মানুষ এ সুবিধা পায়। কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের চাহিদা ৫ হাজার। কিন্তু কিডনি না পাওয়াসহ নানা জটিলতায় বড়জোর ১৫০ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হচ্ছে বলে জানান এক রোগী।
এ অবস্থায় উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও মরণোত্তর দান করা কিডনি প্রতিস্থাপনের যুগে পা রাখছে বাংলাদেশ। মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনে কোরিয়ার বিশেষজ্ঞ দল সামনের সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছে বলে মনে করেন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রধান সমন্বয়ক ডা. আ স ম তানিম আনোয়ার।
কিডনি-লিভার-ফুসফুস-হৃদপিণ্ড, অগ্নাশয়, অস্থি-অস্থিমজ্জা এবং কর্নিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অঙ্গ মরণোত্তর দান করে তা অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপন বিশ্বে পুরনো ঘটনা। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশেই এ হার ১৫ শতাংশ। ভারত- শ্রীলঙ্কায়ও এ চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নিজামউদ্দীন চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউতে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা রোগীদের বিভিন্ন অঙ্গ দান করায় উৎসাহিত করা হয়।
মানবদেহে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন সংশোধন করে বাংলাদেশও এ বিষয়টি উৎসাহিত করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরই মধ্যে করা হয়েছে ‘ব্রেন ডেথ’ কমিটি।