আগেই জানিয়েছি দুবাইয়ে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের উত্তাপ ঠিক ওইভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে না। স্টেডিয়াম এলাকা আর আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি ছাড়া কোথাও ক্রিকেটের হৈ-চৈ নেই। আলাপ আলোচনায় ক্রিকেট আসে যেদিন বাংলাদেশ অথবা পাকিস্তান মাঠে নামে। বেশিরভাগ লোকজন শুধু জানতে চায় আজ কার ম্যাচ, কখন শুরু, কে জিতেছে এগুলো।
এখানে আমরা আছি পূর্ব দুবাইয়ের দিকে। উঠেছি আইকন হোটেলে। আল-মুতিনা এলাকাটা হোটেল ও পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুবিধার। এ পাশটা বেশ খোলামেলা। তবে বেশিরভাগ বাংলাদেশি বসবাস করেন বার দুবাই অথবা দেরা দুবাইয়ে। ও’পাশটা অনেকটা পুরাণ ঢাকার মতো। প্রথমদিন এসে ওখানে ছিলাম। ভালো লাগেনি। কেমন যেন নিষ্প্রাণ। পরদিন হোটেল পরিবর্তন করে এখানে জায়গা নিয়েছি।
এখানকার সকালটা খুবই নিবিড়। ৮টা বাজার আগে দোকানপাট খুব একটা খোলে না। সবচেয়ে আগে শাটার ওঠে সেলুন, চা আর জুসের দোকানগুলোতে। সকাল ১১টায় টিম হোটেলে যেতে হবে, তাই আগের রাতেই এলার্ম দিয়ে রেখেছি সকাল সাড়ে ৮টায় সেলুনে যাব বলে।
সেলুনের সাইনবোর্ড দেখেই ভালো লাগল। ব্যানার সাইজের বোর্ডে মাশরাফী আর মুশফিকের হাসিমাখা মুখ। পাশে শহীদ আফ্রিদিও আছেন। দোকানী বিল্লাল হোসেন ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। অনেক ক্রিকেটারের হেয়ার স্টাইল, দাড়ির ফ্যাশন কালেকশনে আছে তার।
এই এলাকা বা আশপাশের অন্য সেলুনগুলোর তুলনায় তার দোকানেই বেশি ভিড়। তরুণদের দৃষ্টি কাড়তে বেশিরভাগ নিত্য-নতুন হেয়ারস্টাইল ফলো করেন বিল্লাল। গল্পে গল্পে বিল্লাল জানান, ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল হবেন ক্রিকেটার। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। অভাবের কাছে হার মেনে বেশি কামাইয়ের আশায় পাড়ি দেন এদেশে। ২০০৯ সাল থেকে আছেন ভাগ্য বদলানোর মিশনে।
দোকানে মাশরাফী এবং মুশফিকের ছবি রাখলেও তার প্রিয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাহলে সাকিবের ছবি নেই কেনো? উত্তরে বিল্লাল বলেন, সাকিব এবং তামিমের হেয়ার স্টাইল এতোটা জনপ্রিয় নয়। এটা তার ধারণা।
কাজের চাপে খেলা দেখা হয় না বিল্লালের। ফেসবুকে খবর নেন ক্রিকেটের। এশিয়া কাপের পেজে লাইকও দিয়ে রেখেছেন। দাড়ি কাটার বিল নিতে নিতে বললেন, এশিয়া কাপের আপডেট প্রতিদিন দিয়ে যাবেন প্লিজ!!