সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম শহর দুবাইয়ে ভবনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে নতুন কোনো ভবন নির্মাণে বিরতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেদেশের দুই ধনকুবের।
এরই মধ্যে সেখানে ভবন নির্মাণ আপাতত বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দুবাইয়ের শাসক তার ছেলের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মেগা-বিমানবন্দরের কাজ আটকে দেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিছু নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তাদের পরিকল্পিত প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন।
দামাক প্রোপার্টিজের চেয়ারম্যান হুসেন সাজওয়ানি এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘যদি ভবনের চাহিদার চেয়ে এই অতিরিক্ত সরবরাহ চলতে থাকে; তবে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। সেটা ব্যাংকিং ব্যবস্থাকেও প্রভাবিত করবে। যা আমাদের সামর্থের বাইরে চলে যাবে।’
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে গবেষণা করা সংস্থা ব্রোকার জেএলএল-এর প্রধান ক্রেগ প্লাম্ব বলেছেন, ‘সরবরাহকারীদের সরবরাহ কমানোর ফলে নির্মাতারা লাভবান হবেন। কারণ এটি দীর্ঘ মেয়াদে দাম বাড়িয়ে তুলবে।
দুবাইয়ে ক্রমাগত অতিরিক্ত সম্পদের সরবরাহের ফলে গত পাঁচ বছরে সম্পত্তির মূল্য ৩০% হ্রাস পেয়েছে। গত এক দশকের মধ্যে ২০১৮ সালে দুবাই অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্বল ছিল।
গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দাতাদের রিয়েল এস্টেটের অত্যধিক এক্সপোজার বলে অভিহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তাব করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার দুবাইয়ের গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, সম্পত্তি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
গত সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম একটি খোলা চিঠিতে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রায় ভারসাম্যহীনতা এড়াতে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অতিরিক্ত মূল্য আনতে রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলির গতি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।’
সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশ সরকারের নিজস্ব তৈরি। কারণ আমিরাতের বিল্ডিংগুলো দেশটির বড়বড় ডেভেলপাররা নিয়ন্ত্রণ করে।রাষ্ট্র-সংযুক্ত ফার্মগুলো ক্রেতা ধরার প্রতিযোগিতায় টিকতে নির্মাণের গতি বাড়িয়েছে, এজন্য তারা সস্তা এবং প্রায়শই বিনামূল্যে জমি ব্যবহার করছে।