ছুটিতে বিদেশে যাওয়ার আগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিবৃতি এবং ওই বিবৃতিকে বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতির পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
তার বক্তব্যে যেসব বিষয় জানা গেছে:
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে ১১ অভিযোগ তার প্রায় সবগুলোই দুদকের আওতায়।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধান হবে।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া আইনে যা আছে তাই করা হবে।
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এবং সংসদের হাতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা বিষয়ে এ মুহূর্তে এক ধরনের আইনী শূন্যতা আছে, তবে রাষ্ট্রপতির কিছু নিজস্ব ক্ষমতা আছে।
প্রধান বিচারপতি দেশে থাকা অবস্থায়ই সব অভিযোগ সরকারের হাতে এলেও তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কারণ: আইন অনুযায়ী তিনি এখনও প্রধান বিচারপতি।
অভিযোগ থাকলে সেটা মামলা–মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়াতে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাকে বিদেশে যেতে দেওয়ায় কোন অনিয়ম বা নীতিগত সমস্যা হয়নি।
প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান ও সাংবিধানিক পদ। তাই তার বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো বা খামখেয়ালি করে কিছু করা ঠিক মনে করেনি সরকার।
যারা প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্ক করছেন তাদের একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল এবং সেটা হাসিল হয়নি বলে তারা মায়াকান্না করছে।
প্রধান বিচারপতির সুস্থতা দাবি করে বিবৃতিতে আইনমন্ত্রী হতভম্ব। কারণ তিনি রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন তিনি অসুস্থ, অথচ সাতদিন পরে বলেছেন সুস্থ।