গোপালগঞ্জের চর পাথালিয়ায় শালিস বৈঠক থেকে তুলে নিয়ে তুহিন মোল্লা নামে এক যুবকের দুই হাত কেটে ও দুই চোখ উপড়ে হত্যা করা হয়েছে। ঠেকাতে গেলে তারা তুহিনের বাবা পুলিশ সদস্য শওকত মোল্লার দুই পা কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা কুপিয়ে জখম করে।
শনিবার রাতে সদর থানার চর পাথালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শওকতকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গোপালগঞ্জ থানার ওসি মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা এবং এসআই মোঃ খালেক জানিয়েছেন, সদর থানার চর পাথালিয়া গ্রামের পুলিশ সদস্য শওকত মোল্লার সাথে তার বড় ভাই লায়েক মোল্লার জমি-জমা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিলো।
শনিবার রাতে এক সঙ্গে ঈদের খাবার খেয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শালিস বৈঠক বসেন। বৈঠক চলাকালে লায়েক মোল্লার ছেলে আরিফুল, শরিফুল ও রবিউল শওকত মোল্লার ছেলে তুহিনকে ধরে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তুহিনের দুই হাত ও দুই চোখ উপড়ে ফেলে তারা।
খবর পেয়ে ছেলেকে বাঁচাতে বাবা শওকত মোল্লা এগিয়ে গেলে তারা শওকত মোল্লার দুই পা কেটে ফেলে। গুরুতর আহত পিতা-পুত্রকে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ৩ টায় তুহিন মারা যায়।
ঘটনার পর পরই জড়িতরা এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে।