দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে ওই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে একই আদালতে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ গত ৩ মে রানাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনের বিষয়ে অশোক কুমার সিংহ জানান, দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামির জবানবন্দিতে আমানুর রহমান খানের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে এসেছে। তাই এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করে, এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিল। তাদের জবানবন্দিতে এমপি রানা এই মামলায় জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ফারুক হত্যা মামলায় রানার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪জন আসামি রয়েছে।
এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।