বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্কতা জারি করে বলেছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারে। এতে পুরো ইউরোপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোতে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ প্রধান হান্স ক্লুগ বলেছেন, ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে ৭০ লাখের বেশি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ। ২৬টি দেশে প্রতিটি সপ্তাহে ১ শতাংশের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৫০টিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত পাওয়া গেছে। পশ্চিম ইউরোপে এই ভ্যারিয়েন্ট দাপুটে হয়ে উঠছে।
এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। যেসব অঞ্চলে টিকাদানের হার কম সেখানে এই সংক্রমণের প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নতুন এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ৯০ শতাংশ ক্ষমতা হারায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, করোনা বায়ুতে ছড়ানোর পর কীভাবে বেঁচে থাকে তা নিয়ে এটিই বিশ্বের প্রথম সিমুলেশন। কোভিড যে স্বল্প দূরত্বে সংক্রমণ ছড়ায়, এই গবেষণায় তা আবারও উঠে এসেছে। ফলে সংক্রমণ ঠেকানোর কার্যকর উপায় হলো শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরা।