প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আট সদস্যকে অভিযুক্ত করে যে কোনদিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য অভিযোগ পত্র পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।’
সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখার উপ-কমিশনার ( ডিসি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আঃ সবুর সাংগঠনিক নাম আঃ সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার, শেখ আব্দুল্লাহ সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের, সৈয়দ জিয়াউল হক সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ।
অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা হলেন মইনুল হাসান শামীম, আঃ সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ও শেখ আব্দুল্লাহ।
এ মামলায় এখনও দুই জন পলাতক আছেন, তারা হলেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
১৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর নতুন করে এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর বিকালে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয়তলায় ‘জাগৃতি’ প্রকাশনীর অফিসে ঢুকে কতিপয় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন দীপন। ওইদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।