দিল্লির একটি আদালতে পুলিশ ও সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দিল্লির কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিতেন্দ্র গোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে উত্তর দিল্লির রোহিণীতে আদালতকক্ষের মধ্যেই এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
খবরে বলা হয়, সন্ত্রাসীরা আইনজীবীদের পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিল।
নিহত সন্ত্রাসী জিতেন্দ্র গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত এপ্রিলে তাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। আজ এক মামলায় আদালতে আনা হয়েছিল গোগীকে। তখনই বিরোধী পক্ষ তার ওপর গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকজন সন্ত্রাসী আইনজীবীদের পোশাক পরেই আদালত চত্বরে ঢুকে ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
গোগীর ওপর হামলার ঘটনায় ‘টিল্লু’ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে সন্দেহ করছে দেশটির পুলিশ।
জানা গেছে, আদালতকক্ষে সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। সেই গুলিতে দু’জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। গোলাগুলিতে সেখানে কর্মরত এক নারী আইনজীবী আহত হয়েছেন।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী দলের দুই সদস্য আদালতের ভেতরে গোগীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালিয়ে দুই হামলাকারীকে হত্যা করে।’ পুলিশ দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করে হামলাকারীদের হত্যা করে বলে তিনি জানিয়েছেন। এতে গোগিসহ মোট তিনজন মারা গেছেন।
দিল্লির ওই দুই গ্যাংয়ের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক বছরের তাদের মধ্যে লড়াইয়ে ২৫ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবীণ নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে গোগী। ওই বছরের অক্টোবরেই দিল্লির শ্রদ্ধানন্দ কলেজের নির্বাচনে গোগী এবং তার সহযোগীরা সন্দীপ ও রবিন্দর নামের দুই তরুণকে খুন করে। তখন তাকে গ্রেপ্তর করেছিল পুলিশ।