৭৪ বছর বয়সী এনকারনা অ্যালেস পড়ালেখা জানেন না। দৈনন্দিন প্রয়োজনের নানা কারণে তাকে নানা জায়গায় ফোন করতে হয়। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ভালোবাসেন তিনি। কিন্তু ফোনে আত্মীয়দের ফোন নম্বর কিংবা দরকারি সেবার নাম-নম্বরগুলো উনি পড়তে পারেন না।
তাহলে উপায়? পড়ালেখা না জানা দাদির জন্য দারুণ এক উপায় উদ্ভাবন করেছেন নাতি পেদ্রো ওর্তেগা।
সেই ১১ বছর বয়স থেকে দাদীর জন্য প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর ও নম্বরের পাশে প্রতীকি চিহ্ন বা ডুডল একে আসছেন পেদ্রো। পেদ্রোর বয়স এখন ৩১, অর্থাৎ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দাদীর জন্য ডুডল ফোনবুক বানিয়ে আসছেন তিনি।
তার আঁকা ক্রস চিহ্ন- পাশের হাসপাতালের চিহ্ন দেখে দাদী ঠিকই বুঝতে পারেন অসুস্থতায় এই নম্বরগুলোতে ফোন করতে হবে। তেমনি ফুল, সবজি, পোষা কুকুরের জন্য কোন নম্বরগুলোতে ফোন করতে হবে তা দাদি বুঝতে পারেন নম্বরের পাশে আকাঁ ছবি-প্রতীক দেখে।
দাদির জন্য নাতির আঁকা এসব ডুডল এখন স্পেনের সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
দাদীর জন্য ফোনবুকে ডুডল আকাঁর শুরুটা তুলে ধরে নাতি পেদ্রো বলেন, আমি যেন দাদির প্রয়োজনীয় নম্বরগুলো একটি খাতায় লিখে দেই সেজন্য বাবা একদিন আমাকে নিয়ে দাদির বাড়িতে গেলেন।
পেশায় যোগাযোগ বিশারদ এই নাতি বলেন, নম্বর তো লিখে দিলাম, কিন্তু বুঝতে পারলাম এসব নম্বর কোনটা-কার তা আমার দাদি বুঝবেন না। কারণ তিনি তো অক্ষরই চেনেন না। তাই প্রত্যেকটা নম্বরের পাশে ওই নম্বর চিনতে সহায়ক চিহ্ন, প্রতীক বা ডুডল আঁকতে শুরু করলাম।
এ ব্যাপারে দাদিও আমাকে সাহায্য করলেন। তিনি আমাকে নম্বরগুলো যাদের, তাদের সহজে আলাদা করে চেনানো যায় এমন কিছু বৈশিষ্ট্য বলে দেন। ওইসব বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে আমি ছবি এঁকে দেই। এভাবে দাদি নাম পড়তে না পারলেও প্রতীক দেখেই বুঝে যান কাকে ফোন করছেন।