পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে ইংল্যান্ড। আর এক ম্যাচ জিতলেই সিরিজ হাতে চলে আসবে ইংলিশদের। এমন সময় ছোটখাটো এক ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকরা। স্লো-ওভার রেটের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান!
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ৩১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে সহজে জয় পায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ শেষে জানা যায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ওভার বেশি সময় নিয়েছেন মরগান। পরে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.২২.১ ধারা অনুযায়ী ইংলিশ অধিনায়ককে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেন ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন।
মরগানের এমন নিষেধাজ্ঞা নতুন কিছু নয়। সবশেষ ১২ মাসে স্লো-ওভার রেটের কারণে দুবার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন ইংলিশ অধিনায়ক। গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজে স্লো-ওভার রেটের কারণে ৪০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানাসহ এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মরগান। পুরো ইংল্যান্ড দলকে গুনতে হয়েছিল ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা।
পাকিস্তান ম্যাচে শাস্তি পাচ্ছেন জনি বেয়ারস্টোও। ৯৩ বলে ১২৮ রানের ম্যাচজয়ী এক ইনিংস খেলেছেন ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। কিন্তু ২৯তম ওভারে আউট হয়ে যাওয়ার পর মেজাজ ধরে রাখতে না পেরে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করেন বেয়ারস্টো। আইসিসির ২.২ ধারা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ‘ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম, পোশাক, মাঠের সরঞ্জাম কিংবা পোস্টার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতিসাধন করা সম্পূর্ণ রকম নিষেধ।’
তাই মেজাজ হারানোর শাস্তি পাচ্ছেন বেয়ারস্টো। তার নামের পাশে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করে দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি। ২০১৬ সালের পর থেকে নিয়ম চালুর এই প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন বেয়ারস্টো।