থাইল্যান্ড উপকূলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিবাসী বহনকারী নৌকায় মানবেতর জীবন যাপনের চিত্র ধারণ করেছেন এক থাই সাংবাদিক। নৌকার মানুষেরা থাইল্যান্ডে থাকতে চান না এমনটা বলে থাই সরকার তাদের ফিরিয়ে দিলেও, অভিবাসীদের বক্তব্য ভিন্ন।
তবে সমস্যার দ্রুত সমাধানে ২৯ মে থাই প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক বৈঠক আহবান করেছেন। বৈঠক বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার।
প্রায় আড়াই মাস সাগরে থাকা মানুষের আহাজারি চলছেই। মাথা গোঁজার ঠাঁই চেয়েও থাই সরকারের মন গলাতে পারেননি তারা। বড়জোর মাঝেমধ্যে হেলিকপ্টার আর নৌকা থেকে ছুঁড়ে দেয়া হয় খাবার আর পানি। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ড উপকূলে চলমান অভিবাসী সমস্যার খণ্ডচিত্র একইরকম।
থাই সরকার ও নৌ-বাহিনীর বক্তব্য, ভেসে আসা এসব অভিবাসীর থাইল্যান্ডে থাকার ইচ্ছে নেই। পাচারকারীরা তাদের মাঝ সাগরে ফেলে রেখে গেছে। নৌকার বিকল ইঞ্জিন মেরামত করে অনভিজ্ঞ চালককে থাই নৌ-বাহিনী শিখিয়ে দেয়, কি করে পৌঁছাতে হবে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়া।
একমাত্র থাই সাংবাদিক তাপহানি ইয়েত্রিচাইকে নৌকার ভেতরের চিত্র ধারণের অনুমতি দিয়েছিলো থাই সামরিক বাহিনী। তার ধারণ করা ভিডিও বলছে, বাইরের চেয়েও নৌকার ভেতরের চিত্র আরো করুণ। তুলনা চলে শুধু কোনো মহামারি বা দুর্ভিক্ষের সঙ্গে। নৌকার অনেকেরই জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।
তারপরও বিকল ইঞ্জিন সচল করে চলছে নতুন করে সাগর যাত্রা। কিন্তু সে যাত্রা আরো অনিশ্চয়তার। থাই সরকার যেভাবে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে, মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়াও একই কাজ করছে।