ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন। গতকাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচলও।
এ নিয়ে আজ বিআরটিএ’তে ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট। ধর্মঘটের ফলে গত কয়েকদিন থেকেই দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ।
শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আজ সব ধরনের কর্মস্থল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় সকাল থেকে বিপাকে মানুষজন।
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি জ্বালানি তেলের দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেলে গণপরিবহন চালানো সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা আসলে আবার লঞ্চ চলাচল করবে।
তবে জনদুর্ভোগ বিবেচনায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আজ থেকে চট্টগ্রাম শহরে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতির। শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
এর আগে গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা করা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ডিজেলে লিটার প্রতি ১৩ টাকা ১ পয়সা এবং ফার্নেস অয়েলে ৬ টাকা ২১ পয়সা কম দামে বিক্রি করছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। অক্টোবর মাসে সব মিলে ২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এর আগে ২০১৬’র ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হয়েছিল।