প্রথম রাউন্ডেই জমে উঠেছে বাংলাদেশের নতুন ঘরোয়া মৌসুম শুরুর মঞ্চ জাতীয় ক্রিকেট লিগ। শুরুর দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নেয়া তুষার ইমরান দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। আরিফুল হক দ্বিতীয় দিনে দ্বিশত ছোঁয়ার পরেরদিন রনি তালুকদারও পা রেখেছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে।
খুলনা-রাজশাহী
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর ম্যাচে খুলনা বিভাগ প্রথম দিনে ৫২.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় ২১০ রানে। তুষার ১০৪ রান করেন।
রাজশাহী তাদের প্রথম ইনিংসে থামে ৫৫২ রানে। লিড নেয় ৩৪২ রানের। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৬, মিজানুর রহমান ১১৫, ফারহাদ হোসেনের ৮৩ রানের পর জহুরুল ইসলাম খেলেন অপরাজিত ১৬৩ রানের ইনিংস।
খুলনার হয়ে আফিফ হোসেন ধ্রুব ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে স্পিনভেল্কি দেখিয়েছেন।
রাজশাহীর ছুঁড়ে দেয়া বড় লক্ষ্যের পর ৫৩ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৮২ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে খুলনা। তুষার ঠিক ১০০ রানে অপরাজিত আছেন। এনামুল হক বিজয় অপরাজিত ৭২ রানে।
রংপুর-বরিশাল
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টায়ার-১ এর আরেক ম্যাচে রংপুর প্রথম ইনিংসে তোলে ৫০২ রান। জাহিদ জাবেদ ৬২, নাঈম ইসলাম ৯২ ও আরিফুল হকের ক্যারিয়ার সেরা ২৩১ রানে বড় সংগ্রহ গড়ে উত্তরবঙ্গের দলটি।
বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী ও মনির ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ ৫ উইকেটে ৩৮৪ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে। ফজলে রাব্বি অপরাজিত ১৩০ রানের ইনিংস খেলার দিনে সোহাগ গাজী ১২৮ রানে ফিরেছেন।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টায়ার-২ এর ম্যাচে প্রথম দিনে রানবন্যার ইঙ্গিত দিয়ে ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় দিনে গুটিয়ে গেছে ৪২৬ রানে। সৈকত ৪২, সাদমান ইসলাম ১৫৭, মার্শাল আইয়ুব ৫০ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৫৩ রানে এই সংগ্রহ পায় দলটি।
সিলেটের হয়ে এনামুল হক জুনিয়র ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সেরা। পরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২১৫ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেট। এনামুল জুনিয়র ৯১ রান করেন। মেট্রোর হয়ে আরাফাত সানি নেন ৪ উইকেট।
সিলেট পরে ফলোঅন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে। জাকির ৭২ রানে ফিরে গেলেও রাজিন সালেহ ফিফটি তুলে ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টায়ার-২ এর আরেক ম্যাচে ঢাকা বিভাগ প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রান তুলে গুটিয়ে যায়। জুবায়ের হোসেন লিখন চট্টগ্রামের হয়ে ৫ উইকেট নেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৪২ রানে। শাহাদাত ঢাকার হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা।
ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে উদ্বোধনীতে ১৭৬ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। প্রথম ইনিংসে ৫৯ করা রনি তালুকদার ১০০ করে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনে ক্রিজে আসেন। আরেক ওপেনার আব্দুল মাজিদ ছিলেন ৬৬ রানে অপরাজিত।
তৃতীয় দিনে দুজনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি গড়েছেন। বুধবার তারা বিচ্ছিন্ন হন ৩৫০ রানে। মজিদ ১৩২ রানে ফিরলে ভাঙ্গে জুটি। রনি তালুকদারকে ফেরাতে পারেনি চট্টগ্রামের বোলাররা। ইনিংস ঘোষণার সময় রনি অপরাজিত থাকেন ২২৮ রানে। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি ১৮ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো।
ঢাকা এক উইকেটে ৩৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩ উইকেটে ১৩৫ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে চট্টগ্রাম।
এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ছিল ৩৪১ রানের। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান রাজশাহী বিভাগের হয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জুটিটি গড়েছিলেন। পরের রেকর্ডটি অবশ্য আব্দুল মজিদ ও রনি তালুকদারেরই। ঢাকা বিভাগের দুই খেলোয়াড় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩১৪ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন।