অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশে যে পরিমাণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী আছে তা কমানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবছর ১ দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমবে। তবে এর হার ২ শতাংশও হতে পারে।
বুধবার রাজধনীর নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ‘বাংলদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন: অর্জন ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর ধরে সহায়ক ও সঠিক নীতিগত সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার নেয়ার ফলে সব খাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের সেবা ও উৎপাদনশীল খাতকে বহুমুখীকরণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে প্রতি বছর নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এছাড়া বর্তমানে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দারিদ্র্য কমে যাবে। তবে মূল বিষয় হলো সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিবছর প্রায় ২ শতাংশ হারে দারিদ্র কমানোর লক্ষ্য রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে ২০ লাখ কর্মসংস্থানের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণভাবে ৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম। আমাদের দেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে ৫ লাখ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু গত বছর রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ। সুতরাং গত বছর ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করার জন্য চিন্তা করছে সরকার। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি সমাধান আসবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, এখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনের হার ৭ শতাংশের উপরে। নিম্ন উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি আমরা। আশা করা যায়, খুব তাড়াতাড়ি আমরা উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াতে পারবো।
তিনি বলেন, বর্তমানে রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। তবে উৎপাদন খাতে গতি আসলে উৎপাদন বাড়বে। সেই সঙ্গে রপ্তানির পরিমাণও বাড়বে। তখন আমদানি-রপ্তানির মধ্যে সামাঞ্জ্যস্যতা চলে আসবে।
নবীনদের মাঝে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেতনা জাগ্রত করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফাদার প্যাট্রিক ড্যানিয়েল গ্যাফনি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক মুখপত্র ‘ডে স্টার’ এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়।